Site icon Jamuna Television

চার ঘণ্টা গ্যাস বন্ধ, প্রভাব ফেলতে পারে পোশাক শ্রমিকদের বেতন-বোনাসে

গ্যাস রেশনিংয়ের বড় প্রভাব পড়েছে বস্ত্র ও পোশাক খাতে। এর ফলে উৎপাদন অন্তত ৩০ শতাংশ কমবে বলে শঙ্কা উদ্যোক্তাদের। তারা বলছেন, সবাই কোভিডের ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। তাই পোশাকের অর্ডার বেশি। ঈদে শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস প্রস্তুতি নেয়ার সময় গ্যাস চার ঘণ্টা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে রফতানিমুখী শিল্পগুলো বড় ধরনের চাপের মুখে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছে বিকেএমইএ। এ পরিস্থিতিতে বেতন এবং উৎসব ভাতা নিয়ে জটিলতার আশঙ্কা করছেন শ্রমিকরাও।

শিল্পে গ্যাস রেশনিং করেছে পেট্রোবাংলা। ১৫ দিনের জন্য নেয়া এই উদ্যোগ নিয়ে সংশয়ে পড়েছেন, বস্ত্র ও পোশাক শিল্প সংশ্লিষ্টরা। এসজিএস ওয়াশিংয়ের জিএম আজাদুল ইসলাম সুমন বলছেন, ৪ ঘণ্টা বলা হলেও, শিফট কার্যক্রম এবং মেশিন বন্ধ ও চালু করার সময় বিবেচনায় নিয়ে গড়ে ৮ ঘণ্টা উৎপাদন বন্ধ থাকছে। এমন অবস্থায় তারা এলপিজি ব্যবহার করছেন বলেও জানালেন তিনি।

এমএস ডাইং প্রিন্টিং এন্ড ফিনিসিং এজিএম কবির আহমেদ জানালেন, প্রতিষ্ঠানগুলো গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল। ২৪ ঘণ্টা গ্যাসের ওপরই চলে এগুলো।

বেতন এবং উৎসব ভাতা উৎপাদন কমে যাওয়ায় উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যেও। ফলে বেতন এবং উৎসব ভাতা নিয়ে জটিলতার আশঙ্কা করছেন শ্রমিকরাও। বিকেএমইএ নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলছেন, ঈদ সামনে রেখে বিপুল পরিমাণ কার্যাদেশ চলমান আছে কারখানায়। কিন্তু সঠিক সময়ে পণ্য সরবরাহ করতে না পারলে অর্থপ্রবাহে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।

রেশনিংয়ের ফলে ব্যায়বহুল আকাশ পথে পণ্য পাঠাতে বাধ্য হচ্ছেন অনেক উদ্যোক্তা।

/এডব্লিউ

Exit mobile version