মহাসড়ক বিক্রি করে দেয়া প্রতারক গোলাম ফারুক গ্রেফতার

|

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের এই অংশটি বিক্রি করে দেয়া হয়।

আলোচিত মহাসড়কের জমি ক্রয়-বিক্রয়সহ ব্যাংকে বন্ধক দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া প্রতারক ও হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি মো. গোলাম ফারুককে রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

যমুনা টেলিভিশনের ইনভেস্টিগেশন থ্রি সিক্সটি ডিগ্রির অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছিল রাজধানীর উত্তরার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের একটি অংশ কেনা-বেচার এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। এ নিয়ে ভূমি মন্ত্রীর নির্দেশে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতর।

সেই তদন্তে বেরিয়ে আসে সহকারী সেটেলম্যান্ট কর্মকর্তা হাজী ইউনুস আলী অবৈধভাবে অস্তিত্বহীন দাগ দিয়ে আব্দুল্লাহপুরের আবুল হোসেন মুকুলের নামে রাজউক এবং সড়ক জনপথ অধিদফতর ৪৮ শতাংশ জমি লিখে দেন। জমি দুটির খতিয়ান বাতিল করে সরকারি সংস্থা দুটিকে ফেরত দেয়ার সুপারিশ করে তদন্ত কমিটি।

তদন্তে আরও উঠে আসে, অধিদফতরের সেটেলম্যান্ট কর্মকর্তা হাজী ইউনুস আলী নিজ ক্ষমতাবলে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে সরকারি সংস্থার দুটি দাগ থেকে ওই জমি আবুল হোসেনের নামে রেকর্ড করে দেন। পরে এসব ভুল রেকর্ডের জমি নামমাত্র মূল্যে কিনে নেন গোলাম ফারুক নামের আরেক ব্যক্তি।

দাগে গরমিল থাকলেও অধিগ্রহণের বাইরের জমি দেখিয়ে তৎকালীন এসি ল্যান্ড এস এম শফিক নামজারি করে দেন গোলাম ফারুককে। এরপর অস্তিত্বহীন দাগ আড়াল করতে ঢাকা জেলার সাব-রেজিস্ট্রার আরেকটি ভ্রমসংশোধন দলির করে দেন তাকে। সেটিও ছিল বড় ধরনের প্রতারণা। তবে যমুনা টিভির কাছে বিষয়টি স্বীকার করেছিলেন ক্রেতা গোলাম ফারুক। ভূমি রেকর্ড অফিস তদন্ত কমিটি গঠন করলে সেখানেও একটি আবেদন করেন গোলাম ফারুক। সেই আবেদন যমুনা টেলিভিশন ও তদন্ত কমিটির নিজস্ব অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে এসব কারসাজির তথ্য।

এর আগে এই জমি দেখিয়ে একটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে ১৫ কোটি টাকার ঋণ নিয়ে কোনো টাকা শোধ করেননি গোলাম ফারুক। টাকা না পেয়ে ব্যাংক এখন অন্যের জমিতে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে রেখেছে।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply