পাবনা প্রতিনিধি:
পাবনা জেলা পুলিশের সহযোগিতায় বাড়ি ফিরলো শিশু ইব্রাহিম (১০) ও রাব্বি মোল্লা (৯)।
এর আগে, বরিশালের ইব্রাহিম ঘর থেকে পালিয়ে ট্রেনে উদ্দেশ্যবিহীনভাবে ঘুরছিল। ঘটনাটি ট্রেনযাত্রী আসিফুজ্জামানের নজরে এলে তিনি পাবনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খানকে জেলা পুলিশ পাবনাকে মেসেনজারে জানালে পুলিশ সুপার তাকে অনুরোধ করেন ছেলেটিকে থানায় পৌছে দিয়ে যেতে। পুলিশ সুপারের
অনুরোধে আসিফ শিশুটিকে থানায় পৌছে দেন। থানাতে পৌছে দিলে পুলিশ কথা বলে শিশুটির সাথে। তাকে রাখা হয় ঈশ্বরদী থানার নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী হেল্প ডেক্সে।
ইব্রাহিমের সাথে কথা বলে জানা যায় যে সে তার মায়ের সাথে রাগ করে বাড়ি থেকে বের হয়। তার বাড়ি বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া থানার গোমস্তাবাড়িতে। তার পিতার নাম কামাল হোসেন।
থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসাদুজ্জামান ছেলেটির পরিচয় উদঘাটন করেন এবং তার বাড়িতে খবর দিতে আগৈলঝাড়া থানায় যোগাযোগ করেন। ১৪ এপ্রিল ইব্রাহিমের বাবা থানায় এসে ছেলেকে বাড়িতে নিয়ে যান। থানায় পিতা-পুত্র একে অপরকে দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন, সৃষ্টি হয় এক অদ্ভুত দৃশ্যের।
এদিকে, গত বুধবার (১৩ এপ্রিল) জেলার আমিনপুর থানার বসন্তপুর নতুন পাড়া গ্রামের মৃত জাবেদ শেখের ছেলে নীল চাঁদ শেখ থানায় একটি শিশুকে এনে জানান, নগরবাড়ি এলাকায় এই শিশুটি গত তিনদিন ধরে পরিচয়হীনভাবে
ঘুরছে। তৎক্ষণাৎ আমিনপুর থানার নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী হেল্প ডেক্স শিশুটিকে গ্রহণ করে এবং অফিসার ইনচার্জ রওশন আলীর নির্দেশে শিশুটির সাথে কথা বলে শিশুটির নাম ও তার পিতার নাম জানতে পেরে আমিনপুর থানা পুলিশ থানা এলাকার বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করে নিখোঁজ ছেলেটির অভিভাবককে খুজে বের করে।
জানা যায়, ছেলেটির নাম রাব্বি মোল্লা (৯), সে আমিনপুর থানার মির্জাপুর গ্রামের বাবলু মোল্লার ছেলে। পরে শিশুটিকে তার বাবার হাতে তুলে দেয়া হয়।
জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বলেন, আসিফ মেসেঞ্জারে ইব্রাহিমের কথা না জানালে এবং নীল চাঁদ শেখ থানাতে রাব্বিকে না নিয়ে আসলে হয়তো এই শিশুরা কোনো পাচারকারীর হাতে পড়তো অথবা অভিভাবকহীনভাবে বড় হয়ে বখাটে হয়ে যেত বা মাদক সেবনে জড়িয়ে পরতো। আজকের এ শিশুরাই আমাদের ভবিষ্যত। ফলে তাদের প্রতি নিজ নিজ পরিসর থেকে সকলের দায়িত্ববোধ ও দায়বদ্ধতা নিয়ে কাজ করা উচিত।
তিনি আরও বলেন জেলা পুলিশ তার পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এ শিশু দুটি তাদের পিতামাতার বুকে ফিরেছে এবং সেখানে পুলিশের ভূমিকা রয়েছে এটাই আমাদের আত্মিক প্রশান্তি। তিনি অভিভাবকদের শিশুদের প্রতি অধিকতর যত্নবান হবার বিনীত অনুরোধ জানান।
/এসএইচ
পুলিশের সহযোগিতায় বাড়ি ফিরলো ইব্রাহিম ও রাব্বি

অভিভাবকদের সাথে ইব্রাহিম ও রাব্বি।
