
ভালো মানের গুরুর দুধের জন্য খ্যাতি রয়েছে শেরপুর সদর উপজেলার দুধগ্রাম হিসেবে পরিচিত পূর্ব পাড়া, তিলকান্দি ও ভাটিয়া পাড়া গ্রামের। কিন্তু এসব গ্রামের খামারিদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। এক মাসের ব্যবধানে অজ্ঞাত রোগে মারা গেছে অর্ধ-শতাধিক গরু। কী কারণে প্রাণিগুলো মারা যাচ্ছে, তা এখন পর্যন্ত চিহ্নিত করতে পারেনি পশু চিকিৎসকরাও। আয়-রোজগারের একমাত্র সম্বল ক্ষতির মুখে পড়ায় বিপাকে খামারিরা।
খামারিরা বলছেন, গরুর দুধ বেচে চলে সংসার। করোনার ২ বছরের মন্দাভাব কাটাতে, লাভের আশায় শেষ পুঁজি খরচ করেন খামারে। আশা ছিল এবারের কোরবানিতে গরু বিক্রি করে দেখবেন লাভের মুখ। কিন্তু অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে প্রাণিগুলো। মুখ দিয়ে লালা পড়া কিংবা অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যাচ্ছে একের পর এক গরু-বাছুর। কুল-কিনারা না পেয়ে খামারিরা ছুটছেন পশু চিকিৎসকের কাছে। তাদের পরামর্শমতো বিভিন্ন ওষুধ কিনে মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করেও মিলছে না কোনো সুরাহা। আর খামারিদের দুরবস্থায় উপজেলা প্রাণী সম্পদের অফিস থেকে কোনো সহায়তা মেলেনি বলে অভিযোগ করলেন সদর উপজেলা কৃষক সমিতির নেতা সোলায়মান আহম্মেদ।
শেরপুর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. পলাশ কান্তি দত্ত বলছেন, ভালো জাতের বাছুরের আশায় খামারিরা ফ্রিজিং করা ওষুধ দিচ্ছে গরুকে। ফলে অনেক বাছুর জন্মের পরপরই মারা যাচ্ছে। এছাড়া অজ্ঞাত কী কারণে পশুগুলো মারা যাচ্ছে তা শনাক্তে নমুনা পাঠানো হয়েছে ঢাকায়।
/এডব্লিউ



Leave a reply