Site icon Jamuna Television

কিছুতেই কমছে না চালের দাম

মজুদ পর্যাপ্ত, সরবরাহও স্বাভাবিক। তবুও কমছে না চালের দর। উল্টো অস্বাভাবিক বেড়েছে সুগন্ধি চালের দাম। দাম বৃদ্ধির জন্য খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতারা মিল মালিকদের দায়ী করছেন। আর মিল মালিকদের দাবি, উৎপাদন প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত নয়, এমন মধ্যস্বত্বভোগীদের মজুদ প্রবণতায় স্থিতিশীল হচ্ছে না চালের বাজার।

দফায় দফায় বৃদ্ধি পেয়ে এখনও চড়া দামেই স্থিতিশীল চালের বাজার। নতুন করে আর দাম বাড়ছে না, কিন্তু কমার কোনো লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না। নিত্য খাদ্যপণ্যের অস্বভাবিক চড়া বাজারে চালের বাড়তি দর চাপে ফেলেছে সীমিত আয়ের মানুষদের। খুচরা পর্যায়ে, প্রতি কেজি মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা কেজি দরে। নাজিরশাইল ৬৬ থেকে ৭২, পাইজাম মিলছে ৫০ টাকা কেজিতে। খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতাদের অভিযোগ, পুরানো চালের যথেষ্ট মজুদ আছে। মিলগেটে চালের উচ্চমূল্য ধরে রাখা হয়েছে।

আর মিল মালিকরা বলছেন, এখন চালের পর্যাপ্ত মজুদ আছে। সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচির আওতায় বাজারে চালের সরবরাহও বেড়েছে। উৎপাদন প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত নয, এমন ব্যবসায়ীদের মজুদ প্রবণতার কারণে স্থিতিশীল হচ্ছে না চালের বাজার।

এদিকে রজমান মাসের শুরুতেই, আরেক দফা দামের ধাক্কা লেগেছে সুগন্ধি চালে। পোলাওয়ের চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা বেশি। আর এক কেজি কাটারিভোগের জন্যও বাড়তি ৪০ টাকা গুণতে হবে। বিক্রেতারা মনে করছেন, কয়েক সপ্তাহ পরই নতুন মৌসুমের চাল বাজারে আসতে শুরু করবে। সরবরাহ বাড়বে মিনিকেট ও পাইজামের। ফলে দাম কমে আসতে পারে। কিন্তু পাহাড়ি ঢলে হাওর অঞ্চলের কাঁচা ধান তলিয়ে যাওয়ায় ব্যাহত হতে পারে উৎপাদন।

/এডব্লিউ

Exit mobile version