Site icon Jamuna Television

পরীক্ষার আগে প্রশ্ন না দেয়ায় ঘটেছিল হেনস্তার ঘটনা, জাবি শিক্ষকের মামলা

সম্প্রতি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থীর হাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক হেনস্তার ঘটনায় মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগী শিক্ষক আতিকুর রহমান থানা ও আদালতে পৃথক দুইটি মামলা করেছেন। গত ১৩ এপ্রিল পাঁচ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ভাটারা থানায় প্রথম মামলাটি করেন তিনি। পরে শনিবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকা মেট্রোপলিটন আদালতে (সিএমএম) ওই পাঁচ শিক্ষার্থী এবং নর্থ সাউথের প্রক্টরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরও একটি মামলা করেন তিনি।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ১০ এপ্রিল বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি কফিশপে ডেকে নিয়ে তাকে মারধর করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী। দুটি মামলায় লিমা আক্তার, শায়েখ আফসার ফাহিম, দীপঙ্কর দাশ, হাইমিন আল মঈদ ও তানজিব ইসলাম মিথিল এই পাঁচ শিক্ষার্থীকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও কয়েকজন জড়িত ছিল বলেও জানান আতিকুর রহমান। তিনি নিজেই ওই ৫ শিক্ষার্থীকেই শনাক্ত করতে পেরেছেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, লিমা আক্তার তার কাছে পরীক্ষার প্রশ্ন চেয়েছিল। তাতে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে বাকি অভিযুক্তদের ডেকে হেনস্তা করা হয়েছে তাকে।

এর আগে আতিকুর রহমান বলেছিলেন, ঠিক কী কারণে মেয়েটি তার সাথে এমন ব্যবহার করে থাকতে পারে, তা নিশ্চিত নন তিনি। তিনি বলেছেন, হয়তো মেয়েটি আমাকে কোনো কারণে অপছন্দ করতো। তবে আনুষ্ঠানিক অভিযোগে তিনি বলছেন, পরীক্ষার আগেই প্রশ্ন না দেয়ায় হেনস্তা করা হয়েছে তাকে। কেন আগেই প্রশ্ন চাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেননি তিনি, যমুনা নিউজের এমন প্রশ্নের জবাবে আতিকুর জানান, ওই সময় প্রচণ্ড মানসিক চাপে থাকায় এ বিষয়টি মাথায় আসেনি তার।

মামলায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আবু নোমান এম আতাহার আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, আহত অবস্থায় তাকে প্রক্টরের কাছে নিয়ে যাওয়া হলেও ওই শিক্ষকের চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে তিনি একটি কক্ষে আটকে রাখেন তাকে। এমনকি তিনি অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের হেনস্তার ভিডিও ভাইরাল করার অনুমতি দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করছেন আতিকুর রহমান।

থানায় মামলা করার পরও কেন আদালতে মামলা করতে হয়েছে জানতে চাইলে আতিকুর জানান, থানায় অভিযোগ করার সময় অভিযুক্তদের টাকা চাওয়ার বিষয়টি তারা আমলে নেয়নি। অভিযোগের এই অংশ বাদ দেয়ায় তিনি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আদালতের মামলাটি করেছেন।

প্রসঙ্গত, গত ১১ এপ্রিল শিক্ষক আতিকুরের কিছু ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, শিক্ষক আতিকুরকে গালাগালি করছিলেন কয়েকজন। পরে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা আতিকুরকে মারধর করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যায়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বরখাস্ত করা হয়।

/এডব্লিউ

Exit mobile version