Site icon Jamuna Television

মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা, সেই মামলা থেকে বাঁচতে আরও দু’টি খুন

হত্যার শিকার মুক্তিযোদ্ধা।

এক হত্যাকাণ্ডের সাজা থেকে বাঁচতে আরও দু’জনকে খুন! এটি কোনো থ্রিলার নাটক-সিনেমার গল্প নয়। বাস্তবে এমনটাই ঘটছে ময়মনসিংহের ত্রিশালের খাগাটিপাড়া জামতলী গ্রামে। জালিয়াতি করে কৃষকের জমি দখল করে একটি চক্র। এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে প্রথমে খুন হন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন মাস্টার, হয় মামলা। সেই মামলা থেকে বাঁচতে অপরাধীরা পর্যায়ক্রমে আরও দু’টি হত্যাকাণ্ড ঘটায়।

জাল জালিয়াতি করে কৃষকদের জমি দখল করার ঘটনায় প্রতিবাদ করতে গিয়ে ২০১৮ সালে খুন হন ত্রিশালের খাগাটিপাড়ার মুক্তিযোদ্ধা মতিন মাষ্টার। এ মামলায় স্থানীয় মোবারক ও তফাজ্জল হোসেনসহ আট জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। তবে স্বজনদের দাবি, এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী স্থানীয় আব্দুল কাদের জিলানী।

মামলা থেকে নিজের লোকদের বাঁচাতে গ্রামের কাওকে হত্যা করে দায়ভার চাপানো হবে মতিন মাষ্টার হত্যা মামলার সাক্ষীদের উপর, এমন পরিকল্পনা করে মাস্টার মাইন্ড আব্দুল কাদের জিলানী। পুলিশ প্রতিবেদন বলছে, জিলানী ও মোবারক হোসেন মতিন হত্যা মামলার সাক্ষীদের ফাঁসাতে ২০১৯ সালে হত্যা করে স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দপ্তরি রফিকুল ইসলামকে। এবার দপ্তরি রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলার সাক্ষী সোহাগ মিয়াকে দেয়া হয় হুমকি। স্থানীয়রা বলছে, দুই মামলার সাক্ষীদের থামাতে হত্যা বা হাত-পা কেটে ফেলার পুরষ্কারও ঘোষণা করে জিলানী।

বাগে আনতে সাক্ষী সোহাগ মিয়াকে হত্যার ছক কষে অপরাধীরা। ১৪ এপ্রিল হামলা হয় সোহাগের বিরুদ্ধে। এ সময় ভাতিজা সোহাগকে বাঁচাতে গিয়ে খুন হন চাচা আবুল কালাম আজাদ।

অনুসন্ধানে দেখা যায় দুটি হত্যা, অস্ত্র ও চাঁদাবাজিসহ ১১টি মামলা ও ১০টি জিডি রয়েছে পলাতক জিলানীর বিরুদ্ধে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বান দিয়েছেন ত্রিশাল থানার ওসি মাইন উদ্দিন।

এসজেড/

Exit mobile version