Site icon Jamuna Television

জীবনের শেষ দিন ঘনিয়ে এসেছে, ভিডিওবার্তায় ইউক্রেনীয় মেজর (ভিডিও)

ভিডিওবার্তায় সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন মারিওপোলে লড়াই চালিয়ে যাওয়া শেষ ইউক্রেনীয় সেনাদলের কমান্ডার মেজর. সার্হেই ভোলিয়ানা।

মারিওপোলে এখনও রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়া শেষ ইউক্রেনীয় সেনাদলের কমান্ডার মেজর. সার্হেই ভোলিয়ানা বলেছেন, আমরা জীবনের শেষ দিনের মুখোমুখী এখন, এর স্থায়ীত্ব কয়েক ঘণ্টাও হতে পারে। অসংখ্য বেসামরিক নাগরিকসহ আহত অন্তত ৫০০ ইউক্রেনীয় সেনা সমগ্র বিশ্বের কাছে প্রাণ বাঁচানোর আকুতি জানাচ্ছে। খবর এনবিসি নিউজের।

বুধবার (২০ এপ্রিল) নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক একাউন্ট থেকে প্রকাশ করা মেজর. সার্হেই ভোলিয়ানার এক ভিডিও বার্তার বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে এনবিসি নিউজ।

ভিডিও বার্তায় মেজর. ভোলিয়ানা বলেন, ৫০০ যুদ্ধাহত সেনা ও অসংখ্য বেসামরিক ইউক্রেনিয়ান এই মুহুর্তে আমাদের সাথে অবস্থান করছেন। আমরা সম্মিলিতভাবে শুধুমাত্র আজভস্টল স্টিল প্ল্যান্টকে দখলদারদের হাত থেকে রক্ষার চেষ্টা করছি। আমার নেতৃত্বাধীন ৩৬তম মেরিন ব্রিগেড ও স্থানীয় আজভ রেজিমেন্টের যোদ্ধারা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতে সংকল্পবদ্ধ হলেও, এখানে শত্রুর সংখ্যা আমাদের তুলনায় অনেক বেশি। এবং খুব সম্ভবত এটিই আমাদের জীবনের শেষ দিন, শেষ কয়েক ঘণ্টাও হতে পারে।

মারিওপোলে ১ জন ইউক্রেনীয় সেনা গড়ে ১০ জন রুশ সেনার বিরুদ্ধে লড়ছেন উল্লেখ করে মেজর ভোলিয়ানা বলেন, আমাদের ট্যাংক, কামান ও এয়ার সাপোর্ট থাকলেও সংখ্যায় আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। এখানে গড়ে ১০ জন রুশ সেনার বিরুদ্ধে লড়ছেন মাত্র ১ জন ইউক্রেনীয় সেনা, সাথে আছেন অন্তত ৫০০ যুদ্ধাহত সেনা ও অসংখ্য বেসামরিক নাগরিক। দ্রুত উদ্ধার না করা হলে সর্বোচ্চ আজকের দিন অথবা আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাঁচবো আমরা।

মেজর সার্হেই ভোলিয়ানার ভিডিওবার্তাটি দেখতে ক্লিক করুন এখানে

ভিডিও বার্তায় আন্তর্জাতিক নেতাদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানান মেজর ভোলিয়ানা। ওই পোস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদেমির জেলেনস্কি প্রমুখকে ট্যাগ করেছেন তিনি।

ভিডিওতে বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে মেজর ভোলিয়ানা বলেন, সাহায্যের জন্য বিশ্বনেতাদের কাছে বিনীতভাবে আবেদন জানাচ্ছি যেন আমাদেরকে এখান উদ্ধার করে নিরাপদ কোথাও নেয়া হয়।

প্রসঙ্গত, মারিওপোল ইউক্রেন-রাশিয়া সীমান্তের একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ শহর। রুশ সীমান্ত থেকে মাত্র ৩৫ কি.মি. দূরত্বে অবস্থিত শহরটিতে আগ্রাসনের শুরু থেকেই বিশেষ মনযোগ রুশ সেনাবাহিনীর।

/এসএইচ



Exit mobile version