Site icon Jamuna Television

টিকার খরচ নিয়ে সরকার ও টিআইবির হিসেবে গরমিল; যা বলছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

টিকা কার্যক্রম নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) গবেষণা রিপোর্টকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিযোগ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য এটা করা হয়েছে বলেও মন্তব্য তার। এসময় তিনি দাবি করেন, টিকা কার্যক্রমে ৬৭ টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। এই টাকা তো এখন ফকিরকে ভিক্ষা দিলেও নেয় না। তাই ঘুষের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেও দাবি তার।

প্রসঙ্গত, কোভিড-১৯ এর টিকা প্রদানের খরচের ক্ষেত্রে সরকারি হিসেব এবং টিআইবির হিসেবের মধ্যে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকার ফারাক দেখা যাচ্ছে বলে সম্প্রতি এক প্রতিবেদন দিয়েছে সংস্থাটি।

সোমবার (২৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে টিকা কার্যক্রম ও কেনা বিষয়ে টিআইবির গবেষণা রিপোর্ট নিয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ অভিযোগ করেন। তিনি গবেষণা রিপোর্টর সমালোচনা করে বলেন, টিকা কেনার ক্ষেত্রে ৪০ হাজার কোটি খরচ হয়নি। ২০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। আর যেসব টিকা ফ্রিতে পাওয়া গেছে তার মূল্য ধরা হয়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা।

তিনি বলেন, কোভিড নিয়ন্ত্রণ ও টিকাদানে বাংলাদেশ এখন রোল মডেল। ১৩ কোটি প্রথম ডোজ, দ্বিতীয় ১১ কোটি ৬০ লাখ, ও বুস্টার ১ কোটির বেশি ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে। এতে দেশের ভাবমূর্তি বেড়েছে। কিন্তু সম্প্রতি টিআইবি একটি রিপোর্ট দিয়েছে। এই রিপোর্টের বেশকিছু তথ্য সঠিক নয়। তারা এমন কিছু তথ্য তুলে ধরেছে যাতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়।

তিনি বলেন, টিআইবি যে সার্ভে করেছে তাতে দেড় লাখ বুথের মধ্যে ১০৫টি বুথের তথ্য নিয়েছে। ১২ কোটির বেশি মানুষ টিকা দিলেও তারা সার্ভে করেছে মাত্র ১৮শ জনের ওপর। এসময় প্রশ্ন করে মন্ত্রী বলেন, সচেতন না করলে ৯৬ ভাগ মানুষ কীভাবে টিকা পেলো? যারা টিকা নেয়নি তারা নিজের ইচ্ছায় নেয়নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

/এডব্লিউ

Exit mobile version