Site icon Jamuna Television

সৌদিতে মুসলিম পর্যটকদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ

মুসলিম দেশগুলো থেকে আরও বেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি আরব। মক্কা ও মদিনার বাইরে যেসব স্থান মুসলিমদের আকৃষ্ট করতে পারে সেগুলোকে নতুন করে ঢেলে সাজাবে সরকার।

সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদেরকেও সুযোগ দিতে চায় দেশটি। প্রতি বছর হজ ও ওমরাহ করতে যাওয়া মুসলিমদের পাশাপাশি বিদেশি ব্যবসায়ী ও রাষ্ট্রীয় আমন্ত্রণে যাওয়া অতিথিরা এসব পর্যটন এলাকায় বেড়াতে যাবেন।

নতুন যেসব পর্যটন এলাকাকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ পশ্চিম আসির অঞ্চলের আভা পার্বত্য এলাকা, উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের মাদায়েন সালেহের প্রাচীন নাবাতিন এলাকা, বাদশাহ ফাহাদ ঝর্ণা, জেদ্দার পুরোনো আল বালাদ শহর, ঐতিহাসিক আদ-দিরিয়াহ শহর- যেখানে ১৭৪৫ সালে প্রথম সৌদি রাষ্ট্রের গোড়াপত্তন হয়।

আভা পার্বত্য অঞ্চলে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন বাড়িঘর

প্রতি বছর সৌদিতে কয়েক মিলিয়ন মুসলিম ভ্রমণে যান। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই অবশ্য মক্কা আর মদিনায় সীমাবদ্ধ থাকেন। ২০১৭ সালে মক্কায় ২০ লাখ হাজি জড়ো হয়েছিলেন।

সম্প্রতি তেলের ওপর সৌদি অর্থনীতির নির্ভরশীলতা কমাতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে পর্যটন খাতকে শক্তিশালী করতে চায় রাজপরিবার। পর্যটকরা নতুন নতুন এলাকায় ঘুরতে গেলে তাতে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে দেশটি। আগামী এক দশকের মধ্যে সৌদি আরবে তেলের মজুদ একেবারে কমে যাওয়ার শঙ্কা থেকেই অর্থনৈতিক সংস্কারের দিকে এগুচ্ছে সৌদি আরব।

ঐতিহাসিক আদ-দিরিয়াহ অঞ্চল

মুসলিমদের জন্য বিশেষ এই উদ্যোগের নাম দেয়া হয়েছে ‘ডেস্টিনেশন ফর মুসলিমস’। সৌদি কমিশন ফর ট্যুরিজম এন্ড ন্যাশনাল হেরিটেজ এর প্রধান প্রিন্স সুলতান বিন সালমান হলেন এই উদ্যোগের মূল ব্যক্তি। (সূত্র: গালফ নিউজ)।

আদ-দিরিয়াহতেই ১৭৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় সৌদি রাষ্ট্র

Exit mobile version