Site icon Jamuna Television

এবার রাজশাহীতে কেমন হবে আমের ফলন?

সামনেই পাকা আমের মৌসুম। এবার প্রাকৃতিক কারণে রাজশাহীর আম গাছগুলোতে মুকুলের হার ছিল ৭০ শতাংশ। এরই মধ্যে টানা দাবদাহ আর খরায় ঝরেছে আরও ২০ ভাগ। আম ঝরে যাওয়ায় শঙ্কিত চাষিরা। তবে ফল গবেষণা কেন্দ্র বলছে, গত বছরের তুলনায় এবছর আম চাষ বেশি হওয়ায় জেলায় মোট উৎপাদনে তারতম্য হবে না। অন্যদিকে গাছে কম আম থাকায় সেগুলো আকারে বড় হবে বলেও জানাচ্ছে তারা।

রাজশাহী পুঠিয়ার রঘুনাথপুরের জাহাঙ্গীর হোসেন রিপনের আমবাগানটি ৬ বিঘার। এবার আম ধরেছে অর্ধেক গাছে। তার ওপর অনেক আম অকালেই ঝরে পড়ছে তীব্র খরায়। জানালেন, খরা আর অনাবৃষ্টিতে ঝরে পড়ছে আম। কোনোভাবেই আমের ঝরে পড়া আটকানো যাচ্ছে না। তাই শঙ্কায় আছেন তিনি।

চাষিরা বলছেন, এ অঞ্চলের বাগানগুলোতে এবছর আমের মুকুল আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৩০ ভাগ কম। কম বৃষ্টি আর টানা খরায় আরও ২০ ভাগ ঝরেছে গুটি পর্যায়ে। এবার গাছের মোট আমের এক চতুর্থাংশ টিকেছে বলেও জানাচ্ছেন চাষিরা। তার ওপর গত বছর আমের দাম কম পাওয়ায় এবছর পরিচর্যায়ও উদাসীন অনেকে।

রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আব্দুল আলীম বলছেন, পুষ্টির অভাব, রোগ ও পোকার আক্রমণ এবং খরার কারণে এবার আম চাষে এমন পরিস্থিতি। তবে বেশি জমিতে আম চাষ হওয়ায় জেলাভিত্তিক উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ঠিক থাকবে বলে অভিমত তার। গাছে কম আম থাকায় এবার আকারে বড় হবে। তাতেই লাভবান হবে চাষিরা।

ফল গবেষণা কেন্দ্রের হিসেবে, রাজশাহীতে গত বছর ১৭ হাজার ৬৮৬ হেক্টর জমিতে চাষ হলেও চলতি মৌসুমে ১৮ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। ২ লাখ ১৭ হাজার টন লক্ষমাত্রায় বাজার মূল্য ধরা হয়েছে ৮৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

/এডব্লিউ

Exit mobile version