Site icon Jamuna Television

দাদার সাথে ‘দাদাগিরি’ করে এলেন মোহসীন-উল হাকিম

দাদাগিরিতে সৌরভ গাঙ্গুলির সাথে মোহসীন-উল হাকিম।

জি বাংলার জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘দাদাগিরি’তে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে অংশ নিয়েছেন মোহসীন-উল হাকিম। ক্রিকেট অঙ্গন থেকে সর্বত্র ‘দাদা’ হিসেবে সুপরিচিত সৌরভ গাঙ্গুলীর সঞ্চালনায় এই জনপ্রিয় অনুষ্ঠানের সিজন ৯’র বিশেষ আমন্ত্রণে যান দস্যুমুক্ত সুন্দরবন গড়ায় বিশেষ ভূমিকা রাখা বরেণ্য গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মোহসীন-উল হাকিম।

সম্প্রতি কলকাতার রাজারহাটের ডিআরআর স্টুডিওতে শুটিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে দাদাগিরির এই বিশেষ পর্বটি প্রচারিত হবে আসছে ২৫ বৈশাখ অর্থাৎ, ৮ মে বাংলাদেশ সময় রাত দশটায়। যমুনা টিভির বিশেষ প্রতিনিধি মোহসীন-উল হাকিমের মাধ্যমে এই প্রথম কোনো বাংলাদেশি সরাসরি অংশ নিলেন দাদাগিরিতে। দস্যুমুক্ত সুন্দরবন গড়ার কাজে বিশেষ অবদান রাখায় গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মোহসীন-উল হাকিমের প্রশংসা করেন ‘প্রিন্স অব ক্যালকাটা’ খ্যাত সৌরভ গাঙ্গুলী।

মোহসীন-উল হাকিম বলেন, দাদাগিরি ভারতীয় টেলিভিশনের অনুষ্ঠান হলেও বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের বাংলা ভাষাভাষীদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। সম্মানসূচক এই নিমন্ত্রণে আমি সাড়া দিয়েছি, বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করেছি। বাংলাদেশের সাংবাদিকদের ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিত্ব করেছি। অনুষ্ঠানে সঞ্চালক সৌরভ গাঙ্গুলীর সঙ্গে কথোপকথনে ওঠে এসেছে দস্যুমুক্ত সুন্দরবনের পথের নানা গল্প।

জি বাংলার সিনিয়র রিসার্চার অনির্বাণ কর বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমরা মোহসীন-উল হাকিমের অবদান সম্পর্কে জেনেছি। একজন সাংবাদিক কীভাবে দেশ ও মানুষের জন্য নিবেদিত হতে পারেন তা জেনেছি। দস্যুমুক্ত সুন্দরবন গড়তে, জেলেদের অধিকার আদায়ে তার সাংবাদিকতা ও ব্যক্তিগত উদ্যোগ আমাদের নজর কেড়েছে। এই প্রথম বাংলাদেশি কেউ সরাসরি দাদাগিরিতে খেললেন। ভবিষ্যতেও এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাই। সামনে সম্ভব হলে বাংলাদেশেও দাদাগিরির অডিশন শুরু করতে চায় জি বাংলা।

যমুনা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি মোহসীন-উল হাকিম দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবনকে জলদস্যুমুক্ত করার জন্য কাজ করেছেন। তার মধ্যস্থতায় আত্মসমর্পণ করার মাধ্যমে সুন্দরবনের দুই শতাধিক জলদস্যু স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে। সেই সাথে, সরকারের কাছে জমা দিয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ। এ অবদানের জন্য তাকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম, পুরস্কৃত করেছে সরকার।

/এম ই

Exit mobile version