Site icon Jamuna Television

বাইরে উধাও, দোকানের ভেতরে মজুত ভোজ্যতেল

একের পর এক বেরুচ্ছে লুকিয়ে রাখা ভোজ্যতেল।

খুচরা বাজারে ভোজ্যতেল নেই। রাজধানীর বিভিন্ন দোকানগুলোতে হঠাৎই উধাও হয়ে গেছে সব কোম্পানির তেল। আর এই সংকটের সুযোগে চড়া দামে তেল বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। কিন্তু সোমবার (২ মে) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের অভিযানে বেরিয়ে আসে ব্যবসায়ীদের গোপনে ভোজ্যতেল মজুত করার চিত্র। প্রতিটি দোকানে অবৈধভাবে মজুত রাখা হয়েছে বিপুল পরিমাণ ভোজ্যতেল।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের টাউন হল মার্কেটে দেখা যায়, এক দোকানের বিভিন্ন পণ্যের পেছন থেকে সয়াবিন তেলের বোতল বের হচ্ছে একের পর এক। ক্রেতারা যখন ভোজ্যতেলের জন্য দোকানে দোকানে ঘুরে হয়রান, তখন এক ব্যবসায়ী অন্যান্য পণ্যের পেছনে লুকিয়ে রেখেছেন পণ্য। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের অভিযানে দেখা যায় এমন চিত্র। নানা প্রশ্নের মুখে কর্মকর্তাদের সাথে দুর্ব্যবহারও করে বসেন সেই দোকানী। তেল লুকিয়ে রাখার কথা অস্বীকার করে বলার চেষ্টা করতে থাকেন যে, দোকানে জায়গা ছিল না বলে নিচে রাখা হয়েছিল ওসব ভোজ্যতেল।

অবশ্য, অধিকাংশ দোকানের বাস্তবতা একই। রোববার কারওয়ান বাজারে তেলের বড় মজুদ ধরা পড়লেও, খুচরা দোকানে সরবরাহ বাড়েনি। সাজিয়ে রাখা তেল দেখা যায় হাতেগোনা কয়েকটি দোকানে। প্রশাসনের অভিযানের খবরে ভেতর থেকে তেল বের করে ডিসপ্লেতে রাখলেন অনেকে। অনেকেই তেল বিক্রি করছেন শুধু পরিচিত গ্রাহকের কাছে।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক শাহনাজ সুলতানা বলেন, তেল বিক্রি না করার যে কারসাজি তারা করতে চেয়েছিল তা আমরা হাতেনাতে ধরেছি। তাদের শাস্তির আওতায় নেয়া হয়েছে। আর চাহিদা তো থাকবেই। রিটেইলার এবং উৎপাদক পর্যায়ে কোনো সমস্যা নেই। তবে খুচরা পর্যায়ে কিছু সমস্যা আছে। যেমন, কিছু কারসাজি যে এই ব্যবসায়ীরা করতে চেয়েছিল তা আমরা বের করলাম। আমার মনে হয় না এই সংকট থাকবে। আমরা অচিরেই এই সংকট দূর করতে পারবো।

ভোজ্যতেলের বাইরে মুরগি ও গরুর মাংসের দোকানেও অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। এ সময় মূল্যতালিকা না থাকায় জরিমানা করা হয় কয়েকজনকে।

/এম ই

Exit mobile version