Site icon Jamuna Television

কঙ্গোর যে শহরে বিদ্যুৎ সংকট দূর করেছেন একজন চার্চ সেবিকা

কঙ্গোর চার্চ সেবিকা আলফনসাইন সিজা। ছবি: সংগৃহীত।

এক চার্চ সেবিকার উদ্যোগের কারণে বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছেন কঙ্গোর একটি শহরের কয়েক হাজার মানুষ। কঙ্গোর মিতি শহরের একটি আশ্রমে বড় হওয়া এই চার্চ সেবিকা বা নান’র নাম আলফনসাইন সিজার, পেশায় একজন ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। নিজ উদ্যোগে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন, একটি হাইড্রোলিক প্ল্যান্ট। এর সুবিধা ভোগ করছে পুরো আশ্রমসহ দু’টি স্কুল এবং একটি হাসপাতাল।

কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলীয় শহর মিতি’র একটি আশ্রমের গির্জার সেবিকা সিজা। তিনি বলেন, আমাদের গির্জা এবং আশ্রমে ইলেক্ট্রিশিয়ান এবং প্রকৌশলীর প্রয়োজন ছিল। যখন কর্তৃপক্ষ দেখলো এই বিষয়ে আমার আগ্রহ আছে তখন তারা আমাকে ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে পাঠায়। আমি আইটিএফএম এ পড়তে যাই। সেখান থেকে ফিরে এই আশ্রমেই কাজ শুরু করি।

২০১৫ সাল থেকে এই হাইড্রোলিক প্ল্যান্ট নির্মাণের অর্থ সংগ্রহ শুরু করেন সিজা। প্রায় ৩ লাখ ডলার সংগ্রহের পর শুরু করেন এটির নির্মাণ। সিজা জানান, একটি ইঞ্জিনরুম থেকেই পুরো বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। স্কুল, হাসপাতালের মতো স্থাপনায় এখান থেকে বিদ্যুত সরবরাহ করা হয়। আমার লক্ষ্য শিক্ষার্থীরা যেনো অনুধাবন করতে পারে যে, সাধারণ মানুষকে সেবা করাই মানব জীবনের লক্ষ্য হওয়া উচিত।

এই প্ল্যান্ট থেকে বিদ্যুত সুবিধা পাচ্ছেন কয়েক হাজার মানুষ। পুরো আশ্রমের পাশাপাশি, দু’টি স্কুল এবং একটি হাসপাতালেও সরবরাহ করা হচ্ছে বিদ্যুৎ। এ নিয়ে ম্যান্ডেলে ইনস্টিটিউট নামের ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মেউইজ সিমিয়র বলেন, আগে যখন বিদ্যুৎ ছিল না, তখন প্রযুক্তিবিদ্যার কিছুই শেখাতে পারতাম না শিক্ষার্থীদের। কিন্তু এখন তাদের কম্পিউটারসহ প্রয়োজনীয় সব কিছুই শেখাতে পারি।

এই হাইড্রোলিক প্ল্যান্ট থেকে বিদ্যুৎ সুবিধা পাওয়া হাসপাতালটির চিকিৎসক প্যাসকাল খাসোলা বলেন, আমাদের এই এলাকায় চিকিৎসা ব্যবস্থায় আমুল পরিবর্তন এসেছে। আগে কোনো পরীক্ষা করা যেতো না। অস্ত্রপচারের সময় লোডশেডিং হলে খুবই ঝামেলায় পড়তাম। কিন্তু এখন খুব সহজেই কাজ করতে পারি। বিশ্বব্যাংক বলছে, কঙ্গোর মোট জনগোষ্ঠীর মাত্র ২০ শতাংশ বিদ্যুত সুবিধা পান।

এসজেড/

Exit mobile version