Site icon Jamuna Television

করোনার পর স্বস্তির ঈদ; স্বজনহারাদের দীর্ঘশ্বাসে ভারি কবরস্থানের বাতাস

মহামারি দূরে ঠেলে পৃথিবী এখন অনেকটাই স্বাভাবিক। দুই বছর পর তাই এসেছে স্বস্তির ঈদ। তবে করোনায় যারা প্রিয়জন হারিয়েছেন, এই ঈদ তাদের কাছে ফিরে এসেছে যেন নীরব কান্না হয়ে। তাদের দীর্ঘশ্বাসে ভারি কবরস্থানের বাতাস। সবার প্রত্যাশা, এমন কঠিন সময় যেন আর কখনও ফিরে না আসে।

যার হারায় সেই তো বোঝে! আর প্রিয়জন হারানোর শোক সব সময়ই তাড়িয়ে বেড়ায় নিজেকে। মহামারি বিদায় নিয়েছে এক বছরেরও কম সময়ে। এরই মাঝে অনেকেই ভুলতে বসেছে সেই বিভীষিকাময় দিন। তবে যাদের প্রিয়জনকে কেড়ে নিয়েছে প্রাণঘাতী অদৃশ্য ভাইরাস, তাদের জন্য হয়তো ভুলে যাওয়াটা অনেকটাই কঠিন। হয়তো শেষবারের মতো ছুঁয়ে দেখার সুযোগও হয়নি। তাই বিশেষ দিনে বৈরি আবহাওয়া উপেক্ষা করে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রিয় মানুষটাকে শান্তিতে রাখার ফরিয়াদ জানিয়েছেন অনেকেই।

রায়েরবাজার কবরস্থানের ৮নং ব্লকে যতদূর চোখ যাবে ততদূর বিস্তৃত সমাধি। ঈদের নামাজ শেষে প্রায় প্রতিটি কবরের সামনে ছিল স্বজনদের নীরব আর্তনাদ। এমন মৃত্যু যেনো আর কারও না হয়, সৃষ্টিকর্তার কাছে ছিল সেই প্রার্থনা। স্বজনহারা তেমন একজন বললেন, অনেক কষ্ট হয়। নামাজ পড়ে বাসায় যাইনি, এখানে চলে এসেছি। কবরে যারা শায়িত আছেন, তাদের সবার জন্য সবাই দোয়া করবেন। সবাইকে যেন আল্লাহ বেহেস্তবাসী করেন, সবার কবরের আজাব যেন মাফ করে দেন।

ঈদের দিন ঘর জুড়ে নানা আনন্দের আয়োজন থাকলেও কবরস্থানে আসলেই অনুভূত হয় স্বজন হারানোর শোক-আর্তনাদ আর হাহাকারের মর্ম। ঈদের দিনের আনন্দলিপিতে তাই যুক্ত হয় কষ্টের কাহন।

/এম ই

Exit mobile version