Site icon Jamuna Television

ভারত যাত্রায় আগরতলা ইমিগ্রেশনে অসহনীয় ভোগান্তি

আখাউড়া প্রতিনিধি:

কোভিড-১৯ মহামারিতে দীর্ঘ বন্ধের পর এ বছর ঈদ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট সীমান্ত পথে ভ্রমণ পিপাসু ও চিকিৎসা সেবা গ্রহীতা ভারতগামী পাসপোর্টধারী যাত্রীর চাপ বেড়েছে কয়েক গুণ। দু’বছর পর ভ্রমণ ভিসা চালু হওয়ায় স্থলবন্দর দিয়ে পারাপার হচ্ছেন ভ্রমণ পিপাসুরা। তবে আখাউড়া ইমিগ্রেশন সহজে পার হলেও সীমান্তের ওপারে আগরতলা ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে দুর্ভোগে পড়ে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।

ঈদের পরদিন বুধবার (৪ মে) সকাল থেকে আখাউড়া- আগরতলা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট সীমান্ত পথে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী ভারত ভ্রমণে ইচ্ছুক পর্যটকের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। তবে আখাউড়া ইমিগ্রেশন ডেস্কের কাজ দ্রুত সময়ে হলেও এখানে ইমিগ্রেশন ভবনের কাজ বন্ধ থাকায় জনাকীর্ণ পুরাতন ভবনে এবং খোলা আকাশের নিচে প্রচণ্ড রোদে যাত্রীদের দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে।

যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, আগরতলা ইমিগ্রেশনে বিএসএফ ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষের ব্যাগেজ তল্লাশি, সার্ভার জটিলতা, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে ফিঙ্গার প্রিন্ট এবং ইন্টারনেটে ধীরগতিসহ পুলিশের কড়া নজরদারির ফলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রীরা।

যাত্রীরা আরও বলেন, বাংলাদেশ অংশে আখাউড়া ইমিগ্রেশনে যাত্রীর ভীড় থাকলেও দ্রুত সময়ে ইমিগ্রেশন ডেস্কের কাজ সম্পূর্ণ করা হচ্ছে। কিন্তু আগরতলা ইমিগ্রেশন বিভিন্ন অজুহাতে তাদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড় করিয়ে রেখে চরমভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। ইমিগ্রেশনে হয়রানি রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে । এক্ষেত্রে ব্যুরো অব ইমিগ্রেশনের কর্মীদের বিরুদ্ধে গা ছাড়া মনোভাবেরও অভিযোগ উঠেছে।

এ পথে মূলত ভ্রমণপিপাসু যাত্রীরাই আগরতলা ইমিগ্রেশনে হয়রানির শিকার হচ্ছেন দুর্বল পরিকাঠামোর জন্য। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে যাত্রী ভোগান্তিও। জানা যায়, খুব সকালে আগরতলা ইমিগ্রেশনে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়েও অভিবাসনের কাজ শেষ করে গন্তব্যস্থলে পাড়ি দিতে পারছে না যাত্রীরা। এ ছাড়া অনেক শিশু ও বৃদ্ধ ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। ওইসব বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রীরা বিমানও মিস করছেন। পরে চড়াদামে টিকিট কেটে পরবর্তী ফ্লাইটে গন্তব্যস্থলের উদ্দেশে পাড়ি দিতে হচ্ছে।

দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠা আখাউড়া-আগরতলা চেকপোস্টে যাত্রী পরিষেবা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন এ পথে চলাচলকারী পাসপোর্টধারী যাত্রীরা।

এটিএম/

Exit mobile version