Site icon Jamuna Television

কুড়িগ্রামের খাল-বিলে জাল ফেললে এখন আর মাছ ওঠে না

মিঠাপানির দেশি জাতের মাছের জন্য সুখ্যাতি ছিল নদীবেষ্টিত জেলা কুড়িগ্রামের। ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, দুধকুমার,গঙ্গাধরসহ ১৬টি নদ-নদীতে দেখা যেতো বাহারি নাম আর স্বাদের মাছ। তবে এখন সেখানে মিঠাপানির মাছের তীব্র সংকট। অন্যান্য জেলার চাষকৃত মাছ দিয়ে মিটছে দারিদ্র্যপীড়িত এ অঞ্চলের আমিষের চাহিদা। দেশি মাছ বিলুপ্তির জন্য অবৈধ জাল ব্যবহার ও নির্বিচারে খাল-বিল ভরাটকে দুষছেন স্থানীয়রা।

এ অঞ্চলের মানুষ একসময় জাল ফেলেই দিনের খাবার যোগাড় করতে পারতো তবে এখন তা নিতান্তই সৌভাগ্যের ব্যাপার। জেলা মৎস্য বিভাগের হিসেবে মিঠাপানির প্রায় আড়াইশ প্রজাতির মধ্যে ৫৭ ধরনের মাছ বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায়।

এ অবস্থার জন্য অবৈধ জালের ব্যবহারকে দায়ী করছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে চায়না বা রিং জালের ব্যবহারে দেশি প্রজাতির মাছ বিলুপ্তির কারণ বলে ধারণা করছেন অধিকাংশ মানুষ।

কুড়িগ্রাম রেল-নৌ যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণ কমিটির সাবেক সভাপতি নাহিদ হাসান নলেজের প্রস্তাব, করছেন, খাল-বিলে মাছ রক্ষায় ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিলের মাঝামাঝি পর্যন্ত তিন মাস মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেয়ার। এই সময়ে মাছ আহরণ সীমিত করা গেলে বছরজুড়ে দেশি মাছের পর্যাপ্ততা থাকবে বলে মনে করেন তিনি।

দেশি মাছ রক্ষায় দৃশ্যমান পদক্ষেপ বা কার্যকর কর্মসূচি নেই জেলা মৎস্য বিভাগের। তবে অচিরেই এ নিয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিলেন কুড়িগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কালিপদ রায়।

প্রসঙ্গত, জেলার ৯টি উপজেলায় ১৬৫টি বিল রয়েছে। এসব বিল থেকেই নির্বিচারে সারাবছর মাছ ধরা হয়।

/এডব্লিউ

Exit mobile version