Site icon Jamuna Television

ডা. মন্দিরার মৃত্যুর ঘটনায় খুমেক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা

অভিযুক্ত ডা. সুহাস।

ডাক্তার মন্দিরা মজুমদারের মৃত্যুর ঘটনায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুহাস রঞ্জন হালদারের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচণায় মামলা দায়ের হয়েছে। মন্দিরার পিতা জানান, তার মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণ ও অন্তঃসত্ত্বা করেছিল ডা. সুহাস। আর মন্দিরার সহপাঠীদের দাবি, এটি আত্মহত্যা নয়, হত্যা। জানিয়েছেন, ডা. সুহাস ও তার বোনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি।

গত ২৮ এপ্রিল আত্মহত্যা করেন ডাক্তার মন্দিরা মজুমদার। আত্মহত্যার ঠিক নয় ঘন্টা আগে পিতা প্রদীপ মজুমদারকে জানিয়ে যান, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক তাকে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ ও তার দ্বারা একাধিকবার অন্তঃস্বত্তা হওয়ার পর ভ্রুন নষ্ট ও জীবননাশের হুমকির কথা। বিষয়টি কেএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানোর পরও থানায় লিপিবদ্ধ হয়নি কোনো অভিযোগ।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, পিত্তথলির অপারেশনের জন্য গেলো বছরের ৩০ এপ্রিল খুলনা মেডিকেলে ভর্তি হন মন্দিরার বাবা প্রদীপ মজুমদার। অপারেশনের দায়িত্বে ছিলেন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার সে সময়ই তার মেয়ে মন্দিরার সাথে সুহাসের প্রেমের সম্পক গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে বিয়ের কথা অস্বীকার করলে, ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে মন্দিরা।

মন্দিরার পিতা প্রদীপ মজুমদার বলেন, আমরা জানার পর তাকে বলি যে সুহাসকে বলো বিয়ে করতে। বিয়ের কথা বলার পর সে বিভিন্ন উল্টা-পাল্টা আচরণ করতে শুরু করে। তার তার বিচার ও সর্বোচ্চ শাস্তি চায়।

মন্দিরার অকাল মৃত্যু কোনোভাবেই মানতে পারছেন না তার সহপাঠী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কেউই। তার সহপাঠীরা বলছেন, শেষ কিছুদিন তাকে দেখলেই মনে হতো সে মানসিকভাবে ডিপ্রেসড। মানুষ তো আর এমনি এমনি আত্মহত্যা করে না। আমরা চাই যেন দোষীর উপযুক্ত বিচার ও সর্বোচ্চ শাস্তি হয়।

গাজি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. বঙ্গ কমল বসু বলেন, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া দরকার। তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষী যদি কেউ থেকে থাকে তার সর্বোচ্চ শাস্তি যেন হয় আমরা এটিই দাবি করবো।

মন্দিরা আত্মহত্যার পর থেকেই পলাতক রয়েছে ডা. সুহাস ও তার বোন। মন্দিরা আত্মহত্যার পর তার বাবা গত ২৯ এপ্রিল বাদী হয়ে ডাঃ. সুহাস ও তার বোন সিঁথী মনি হালদারের নামে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা দায়ের করেন। দশদিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করতে পারেনি।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. অঞ্জন কুমার চক্রবর্তী জানান, ঘটনার পর থেকেই তিনি নেই আর অফিসে। তার ফোনও বন্ধ এবং সে বিশেষ একটা ছুটি নিয়েছে এমন খবর পেয়েছি।

/এসএইচ

Exit mobile version