ছবি: সংগৃহীত
ইউক্রেনকে ঘিরে হঠাৎই কূটনৈতিক তৎপরতা বেড়েছে পশ্চিমা নেতাদের। কোনো ধরনের পূর্ব ঘোষণা কিংবা আভাস ছাড়াই হঠাৎ কিয়েভ সফরে গেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। গেল মাসে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ইউক্রেন সফরের পর রুশ আগ্রাসনের মধ্যে কোনো রাষ্ট্রপ্রধানের এটাই প্রথম ইউক্রেন সফর।
দেশটিতে সফরের পর কিয়েভে অবস্থিত দূতাবাস আবারও চালু করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। এ সময় বৈঠক করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে। আলোচনায় ইউক্রেনকে সামরিক ও আর্থিক সহায়তা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন ট্রুডো। জানান, দ্রুতই ইউক্রেন বাহিনীর জন্য ট্যাংক এবং কামানের মতো ভারী অস্ত্র পাঠাবে কানাডা। এ সময় রুশ প্রেসিডেন্টের কঠোর সমালোচনাও করেন ট্রুডো।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুতিন যে আচরণ করছেন তাতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যারা লড়াই করেছেন তারা লজ্জা পেতেন। ইউক্রেনকে আমাদের পক্ষ থেকে সহায়তা অব্যাহত থাকবে। ড্রোন, স্যাটেলাইট, অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং ডিমাইনিং অপারেশনের জন্য বিশেষ তহবিল ঘোষণা করছি।
একই প্রতিশ্রুতি এসেছে জার্মানির তরফ থেকেও। কিয়েভে সফরে দেশটির স্পিকার, ব্যারবেল ব্যাস জানান, অস্ত্র এবং স্বেচ্ছাসেবক পাঠানোর মাধ্যমে কিয়েভকে সহায়তা করাই বার্লিনের মূল লক্ষ্য।
জেলেনস্কি বলেন, জার্মান পার্লামেন্ট আমাদের সহায়তায় যে বিল পাস করেছে তাতে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। এই চরম সঙ্কটে আমাদের পাশে থাকায় ইউক্রেনবাসী আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
এদিকে, রাশিয়ার সামরিক অভিযান চলাকালেই ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের মার্কিন দূতাবাসে ফিরেছেন কর্মকর্তারা। আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ওয়াশিংটন জানায়, কিয়েভে রুশ অনুগতদের বসাতে ব্যর্থ হয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন।
জেডআই/
Leave a reply