Site icon Jamuna Television

ছুরিকাঘাতে তিন ইসরায়েলির মৃত্যুর পর যে ঘোষণা দিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট। ফাইল ছবি।

গত ৫ মে নাকবা বা নিজ ভূখণ্ড থেকে ফিলিস্তিনিদের উৎখাত উদযাপন করছিলো ইসরায়েলিরা। সেটি সহ্য করতে না পেরেই এলাদ শহরে ছুরি এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনি যুবকরা। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় তিন ইহুদি। এর পেছনে সন্ত্রাসীদের বিশাল চক্রের যোগসাজশ দেখছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট।

অভিযান চালিয়ে ২ জন ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতারের পর বেনেট বলেন, গুটিকয়েক সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করাই যথেষ্ট নয়। কারণ, একজনের পক্ষে ইহুদিদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বার্তা ছড়ানো অসম্ভব। এর সাথে বিশাল চক্র জড়িত। তাই, সন্ত্রাসবাদ বিরোধী অভিযানের নতুন ধাপের সূচনা ঘোষণা করলাম। কারণ, ইসরায়েলিদের সুরক্ষাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।

উল্লেখ্য, দখলকৃত পশ্চিম তীরে আবারও তাণ্ডব শুরু করেছে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী। রোববার (৮ মে) সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে দুই ফিলিস্তিনিকে আটক করা হয়। অভিযোগ, তারাই গেলো সপ্তাহেই ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে তিন ইহুদিকে। একইদিন, জেরুজালেমের কাছে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছে এক কিশোরসহ দুই ফিলিস্তিনি।

তেল আবিবের কাছেই কট্টর অর্থোডক্স ইহুদিদের ‘এলাদ বসতি’। সেখানকার, চারণভূমিতেই গেলো কয়েকদিনের সাঁড়াশি অভিযানের পর আটক হন এই দুই ফিলিস্তিনি। আটক আসাদ ইউসূফ আল রিফাই এবং সুবিহ ইমাদ বেইহাতের বয়স মাত্র ২০ বছর। অথচ তাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ, ইহুদি হত্যার। জেনিনে তাদের বাড়িতেও চালানো হয় তল্লাশি।

ইসরায়েলের পুলিশ কমিশনার বলেন, আমরা টানা ৭০ ঘণ্টার তল্লাশি অভিযান শেষ করলাম। যৌথভাবে ধরপাকড় কার্যক্রম চালায় পুলিশ-সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা বহর শিন বেত। এলাদে ছুরিকাঘাতে তিন ইহুদির হত্যাকারীদের আমরা ধরে ফেলেছি। শিগগিরই শুরু হবে তাদের বিচারকার্য।

মার্চ মাস থেকেই, বিচ্ছিন্ন হামলা-বিক্ষোভ-প্রতিবাদে উত্তাল পশ্চিম তীর। পাল্টাপাল্টি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৮ ইসরায়েলি এবং ৩০ ফিলিস্তিনি। রমজান মাসজুড়ে, পবিত্র স্থাপনা আল-আকসা ঘিরেও তুঙ্গে ছিল উত্তেজনা। দফায়-দফায় সংঘাতে আহত হন আড়াই শতাধিক ফিলিস্তিনি; আটক করা হয় পাঁচশ’র বেশি মানুষকে।

জেডআই/

Exit mobile version