Site icon Jamuna Television

কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ১৫ দিন পর উদ্ধার

ছবি: সংগৃহীত

স্টাফ করেসপনডেন্ট, রংপুর:

নীলফামারীর এক কিশোরীকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। প্রায় ১৫ দিন পর তাকে উদ্ধার করা হয়। পরে রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।

মেয়েটির বাড়ি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে। তার দাবি- পার্শ্ববর্তী এলাকায় খালার বাড়িতে ইফতার শেষে ফেরার পথে একটি দোকানের সামনে থেকে স্থানীয় যুবক জীবন, মানিক ও রশিদুল তাকে তুলে নিয়ে যায়। পরে চড়াইখোলা এলাকায় প্রথমে ভুট্টাক্ষেতে পালাক্রমে ধর্ষণের পর একটি গভীর নলকূপের ঘরে ৫ দিন আটকে রেখে আবারও পালাক্রমে ধর্ষণ করে তারা। তারপর আরেকজনের কাছে টাকার বিনিময়ে তুলে দেয় নির্যাতনকারীরা।

ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে জানালে তাকে এবং তার পরিবারকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় সংঘবদ্ধ ধর্ষকরা। পরে বাড়িওয়ালা মাহাবুলের সহযোগিতায় রংপুর থেকে গত রোববার (৮ মে) স্থানীয় মেম্বার খায়রুলের জিম্মায় বাড়িতে যায়। যাওয়ার পথেও অভিযুক্ত ধর্ষকদের পরিবার তাকে প্রকৃত ঘটনা না বলার জন্য চাপ দেয়। কিন্তু বাড়িতে গিয়ে কিশোরী পুরো ঘটনা খুলে বলে। সাথে সাথে তাকে কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তৃপক্ষ তাকে উন্নত চিকিৎসা এবং ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য মঙ্গলবার বিকেলে রংপুর মেডিকেলে পাঠায়।

জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. ফিরোজ মিয়া বলেন, উনি আমাদের বলেছেন, তিনি যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তার শারীরিক চিকিৎসা যাতে ভালোভাবে হয় সেটা আমরা গাইনি ডিপার্টমেন্টকে অবহিত করেছি।

স্বজনদের অভিযোগ- ঘটনার পরপরই থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছিল। তবে উদ্ধারে ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।

কিশোরগঞ্জ থানার ওসি রাজিব কুমার রায় বলেন, মেয়েটা না আসা পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না। তার জবানবন্দিটা নিতে হবে। তারপর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ইউএইচ/

Exit mobile version