Site icon Jamuna Television

কোন পণ্য কতদিন মজুদ রাখা যায়?

সরকার বা সরকার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত লাইসেন্স ব্যতিরেকে কোনো ব্যবসায়ী ১ টনের বেশি খাদ্যশস্য বা খাদ্যসামগ্রী মজুদ রাখতে পারে না। ২০১১ সালের ৪ মে খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের খাদ্য বিভাগের জারিকৃত এক আদেশে তা জানানো হয়। যা এখনও বহাল আছে।

আদেশে বলা হয়, কন্ট্রোল অব এসেনসিয়াল কমোডিটি অ্যাক্ট ১৯৫৬ এর সেকশন ৩-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার বিভিন্ন শর্তাধীনে খাদ্যশস্য বা খাদ্য সামগ্রীর মজুদের পরিমাণ ও মেয়াদ নির্ধারণ করে।

পাইকারি পর্যায়ে বিক্রয়ের জন্য ৩০ দিনের জন্য চাল বা ধান রাখা যাবে সর্বোচ্চ ৩০০ মে. টন। আর খুচরা বিক্রেতারা ১৫ দিনের জন্য ১৫ মে. টন মজুদ রাখতে পারবেন। আর আমদানিকারকরা শতভাগ চাল সর্বোচ্চ একমাসের জন্য মজুদ রাখতে পারবেন।

পাইকাররা ২০০ মে. টন গম ও লবণ রাখতে পারবেন ৩০ দিনের জন্য। খুচরা পর্যায়ে ১০ মে. টন রাখা যাবে ১৫ দিনের জন্য। আমদানিকারকরা ১ মাসের জন্য শতভাগ রাখতে পারবেন।

৩০ দিনের জন্য পাইকারি পর্যায়ে চিনি রাখা যাবে ৫০ মে. টন। খুচরা পর্যায়ে ৫ মে. টন রাখা যাবে ২০ দিনের জন্য। আমদানিকাররা ৪০ দিনের জন্য ৫০ ভাগ মজুদের সুযোগ পাবেন।

ভোজ্য তেলের মধ্যে পাইকারি পর্যায়ে পরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেল ৩০ দিনের জন্য রাখা যাবে ৩০ মে. টন করে। আর খুচরা ব্যবসায়ীরা ২০ দিনের জন্য এ দুই প্রকারের তেল সর্বোচ্চ রাখতে পারবেন ২০ দিন। আর ৩০ দিনের জন্য সর্বোচ্চ ৪০ মে. টন ডাল রাখতে পারেন পাইকাররা। আর ২০ দিনের জন্য সর্বোচ্চ ৫ মে. টন ডাল রাখার সুযোগ পায় খুচরা ব্যবসায়ীরা।

/এমএন

Exit mobile version