Site icon Jamuna Television

তেলের পর এবার পেঁয়াজের দামে মাথায় হাত ক্রেতাদের

ভোজ্যতেলের পর এবার অস্থির হচ্ছে পেঁয়াজের বাজার। সাত দিনের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ১৫ টাকার বেশি। এতে ক্ষুদ্ধ ক্রেতারা। বলছেন, তদারকির দুর্বলতায় অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতেই বাড়ছে দাম। এদিকে বিক্রেতাদের দাবি, আমদানি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় দেশি জাতের বাজার বেশ চড়া। অন্যদিকে কৃষকদের দাবি, পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের সুফল তারা পাবেন না। মুনাফা যাবে আড়তদারদের ঘরে।

খুচরা বাজারে মাত্র সাত দিন আগে যে পেঁয়াজ মিলেছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজিতে। শনিবারের (১৪ মে) বাজারে পণ্যটির জন্য গুণতে হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। ক্রেতাদের অভিযোগ, পর্যাপ্ত মজুদ সত্ত্বেও বিক্রেতাদের কারসাজিতে বাড়ছে দাম।

ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায়, দাম বাড়ছে বলে জানান বিক্রেতারা। বলছেন, আমদানি করা পেঁয়াজ না থাকায় দেশি জাতের মজুদ প্রবণতা বাড়ছে। গত ৫ মে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি বাতিল করে দেয় সরকার। যদিও, মে দিবস এবং ঈদের ছুটি থাকায় ৩০ এপ্রিলের পর স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজের ট্রাক প্রবেশ করেনি। আবারও আমদানি কার্যক্রম শুরু হলে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

চাষীদের স্বার্থ বিবেচনায় সরকার আমদানি বন্ধ রেখেছে। তবে, মাঠ পর্যায়ের চিত্র বলছে ভিন্ন কথা। কৃষকদের দাবি, মৌসুমের শেষ আবাদের সিংহভাগ অংশই তারা বিক্রি করেছেন। যা বেপারিদের হাত ঘুরে আড়তদারদের ঘরে চলে গেছে। আমদানি বন্ধের সুফল কৃষক তেমন একটা পাবে না।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের হিসেবে, দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ৩৬ লাখ টনের কিছু বেশি। এর মধ্যে ৩২ লাখ টন পূরণ হয় স্থানীয় উৎপাদন থেকে। আর বাকিটা আমদানি করে মেটাতে হয়।

এসজেড/

Exit mobile version