Site icon Jamuna Television

দর্জি বাবার সেই মেধাবী ছেলেই এখন হাজার কোটি টাকা লোপাটকারী পি কে হালদার

পি কে হালদারের গ্রামের বাড়ি। ইনসেটে পি কে হালদার।

পিরোজপুর প্রতিনিধি:

হাজার কোটি টাকা পাচারকারী ও বাংলাদেশের এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ম্যানেজার প্রশান্ত কুমার ওরফে পি কে হালদারসহ ছয়জনকে ভারতে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার (১৪ মে) সকালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইনফর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) তাদের গ্রেফতার করে। আলোচিত এই পি কে হালদারের বাবা মৃত প্রণবেন্দু হালদার পেশায় ছিলেন দীঘিরজান বাজারের একজন দর্জি। মা লীলাবতি হালদার ছিলেন একজন স্কুলশিক্ষক।

পিকে হালদার ওরফে প্রশান্ত কুমার দীঘিরজান মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও পাশ্ববর্তী বাগেরহাটের সরকারি পিসি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। এরপর বুয়েটের মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্ট থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি নিয়ে বেক্সিমকো গ্রুপের জুট ফ্যাক্টরিতে চাকরি করেন।

১৫-১৬ বছর আগে ভিন্ন ধর্মের এক নারীকে বিয়ে করার পর থেকে পি কে হালদার গ্রামছাড়া। তার এই অর্থপাচারের কেলেঙ্কারি ফাঁস হওয়ার পর শিক্ষিকা মা আরেক ছেলে প্রীতিশ হালদারের বাড়ি ভারতের অশোকনগরে চলে গেছেন। পিকে হালদারের আরেক ভাই প্রানেশ হালদারও কানাডায় অবস্থান করছেন বলে এলাকা থেকে জানা গেছে।

দীঘিরজান গ্রামে তার প্রতিবেশী কলেজ শিক্ষক অধ্যক্ষ দীপ্তেন মজুমদার জানান, প্রশান্ত হালদারকে একজন মেধাবী ছাত্র বলে এলাকাবাসী চিনতো। দীর্ঘদিন ধরে এলাকার সঙ্গে তার তেমন কোনো যোগাযোগ ছিল না। মানুষ জানতো প্রকৌশলী পেশায় তিনি অনেক বড় চাকরি করেন।

অঙ্গন হালদার নামে নিজ গ্রামের জনৈক ব্যক্তি ম্যানেজার হিসেবে পি কে হালদারের ব্যবসা-বাণিজ্য দেখাশোনা করেন। দীঘিরজান গ্রামে মা লীলাবতীর নামে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছেন পিকে হালদার সেটিরও তত্ত্বাবধায়ক অঙ্গন হালদার। বর্তমানে পি কে হালদারের গ্রামের বাড়িতে পুরানো একটি কাঠের টিনশেড ঘর আছে। যেখানে তার চাচাতো ভাই দীপেন্দ্র নাথ হালদার বসবাস ও দেখাশুনা করেন।

জেডআই/

Exit mobile version