Site icon Jamuna Television

আজ শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা

ছবি: সংগৃহীত।

বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা আজ রোববার (১৫ মে)। দেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায় তাদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা সাড়ম্বরে উদযাপন করবে। বৌদ্ধ ধর্ম মতে, আজ থেকে আড়াই হাজার বছর আগে এ দিনে মহামতি গৌতম বুদ্ধ আবির্ভূত হয়েছিলেন। তার জন্ম, বোধিলাভ ও মহাপ্রয়াণ বৈশাখী পূর্ণিমার দিনে হয়েছিল বলে এর (বৈশাখী পূর্ণিমার) নাম দেওয়া হয় ‘বুদ্ধ পূর্ণিমা’। জাতিসংঘ আজকের দিবসটিকে ‘বেশাখ ডে’ হিসেবে পালন করে। আজ শুরু হবে ২৫৬৬ বুদ্ধাব্দ।

বৌদ্ধধর্মের অমর প্রবর্তক মহামতি রাজকুমার সিদ্ধার্থের বা গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বুদ্ধত্ব বা বোধি লাভ এবং মহাপরিনির্বাণের (মৃত্যু) স্মৃতিবিজড়িত ও ঘটনাবহুল দিবস এটি। তাই দিনটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বিদের কাছে একই সাথে শোক ও গৌরবের দিন। দিনব্যাপী প্রার্থনা, বুদ্ধজীবনের নানাদিক আলোচনা ইত্যাদির মধ্য দিয়ে বৌদ্ধধর্মাবলম্বীরা দিনটি কাটাবেন। আজ সরকারি ছুটির দিন। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক আজ ক্রোড়পত্র, বিশেষ নিবন্ধ-প্রবন্ধ প্রকাশ করছে। টেলিভিশন ও বেতারে বিশেষ অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হচ্ছে।

বৌদ্ধ সাহিত্য থেকে জানা যায়, পূর্বজন্মে বোধিসত্ব সকল পারমি পূরণ করে সন্তোষকুমার নামে যখন স্বর্গে অবস্থান করছিলেন, তখন দেবগণ তাকে জগতের মুক্তি এবং দেবতা ও মানুষের নির্বাণ পথের সন্ধান দানের জন্য মনুষ্যকুলে জন্ম নিতে অনুরোধ করেন। দেবতাদের অনুরোধে বোধিসত্ব সর্বদিক বিবেচনাপূর্বক এক আষাঢ়ী পূর্ণিমায় স্বপ্নযোগে মাতৃকুক্ষিতে প্রতিসন্ধি গ্রহণ করেন এবং পরবর্তী এক শুভ বৈশাখী পূর্ণিমায় জন্ম লাভ করেন।

তার জন্ম হয়েছিল লুম্বিনী কাননের শালবৃক্ষ ছায়ায় উন্মুক্ত আকাশতলে। তার কাছে জাতি, শ্রেণি ও গোত্রের কোনো ভেদাভেদ ছিল না। তিনি মানুষকে মানুষ এবং প্রাণীকে প্রাণী রূপেই জানতেন এবং এর প্রাণসত্তার মধ্যেই যে কষ্টবোধ আছে তা তিনি মর্মে মর্মে উপলব্ধি করতেন। তাই তিনি বলেছিলেন, ‘সবেব সত্তা ভবন্তু সুখীতত্তা’ জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক।

দিবসটিকে সামনে রেখে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। এসব বাণীতে বৌদ্ধ জীবনদর্শনের নানা দিক তুলে ধরে সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে তা অনুকরণ ও অনুসরণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গৌতম বুদ্ধের আদর্শ ধারণ ও লালন করে বাংলাদেশকে শান্তিপূর্ণ দেশ হিসাবে গড়ে তুলতে সবাই ভূমিকা রাখবেন। তিনি বৌদ্ধ সম্প্রদায়সহ সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।

এসজেড/

Exit mobile version