Site icon Jamuna Television

ইমো অ্যাকাউন্ট হ্যাক করাই উপাজর্নের একমাত্র রাস্তা তাদের

নাটোর থেকে গ্রেফতার হ্যাকার চক্রের তিন সদস্য।

মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে থাকা প্রবাসীদের টার্গেট করে তাদের ইমো অ্যাকাউন্ট হ্যাক করাই পেশা একদল প্রতারকের। নানা কৌশলে পাসওয়ার্ড জেনে ব্যবহারকারীদের স্বজনদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হতো লাখ লাখ টাকা। নাটোর থেকে এমন হ্যাকার চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতারের পর গোয়েন্দারা বলছেন, জেলার লালপুর উপজেলা পরিণত হয়েছে ইমো হ্যাকারদের দুর্গে।

গ্রেফতার তিনজনই নাটোরের লালপুরের বাসিন্দা। সবাই শিক্ষার্থী। তবে সেটি নামকাওয়াস্তে। পড়ালেখার পাট চুকানোর আগেই তারা বেছে নিয়েছেন প্রতারণাকে। ইমো হ্যাকিংই এখন তাদের উপাজর্নের একমাত্র রাস্তা।

হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে নাটোর থেকে গ্রেফতারের পর তারা জানিয়েছে, চক্রটির মূল টার্গেট মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী বাংলাদেশিরা, যারা স্বজনদের সঙ্গে ইমোতে কথা বলে। প্রথম ধাপে তারা অ্যাকাউন্টধারীর মোবাইল ফোন নম্বর সংগ্রহ করে। তারপর মেয়েদের ছবি ব্যবহার করে মেসেজে দিতে থাকে টার্গেট ব্যক্তিকে। প্রস্তাব দেয়া হয় অনৈতিক কাজের। দ্বিতীয় ধাপে মোবাইলে ওটিপি পাঠায়। কোড জেনে নিয়ে ইমো অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে ক্লোন করে। এরপর ওই প্রবাসীর দেশে থাকা স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করে টাকা চাওয়া হয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলছেন, নাটোরের লালপুর উপজেলার প্রতিটি গ্রামের ঘরে ঘরে ইমো হ্যাকার। এলাকাটির ব্যাপক সংখ্যক লোক হ্যাকিংয়ের সাথে জড়িয়ে পড়েছে। তাদের নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে আরও সজাগ থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলেও জানালেন কিনি। এছাড়া যেহেতু এ ধরনের অ্যাপগুলো বেশ জনপ্রিয়, তাই হ্যাকারদের কাছ থেকে বাঁচতে এগুলো ব্যবহারে সতর্ক থাকার পরামর্শও দিলেন তিনি।

/এডব্লিউ

Exit mobile version