Site icon Jamuna Television

ছাগল চুরির অপবাদে দুই ভাইকে গাছে বেঁধে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল

নড়াইল প্রতিনিধি:

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় ছাগল চুরির অপবাদে দুই ভাইকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্যাতনের আড়াই মিনিটের একটি ভিডিও ইতোমধ্যে ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

রোববার (১৫ মে) সকাল ৮টার দিকে লোহাগড়া থানার কোটাকোল ইউনিয়নের মাটিয়ডাঙ্গা গ্রামে এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।

নির্যাতিত যুবকেরা হলো, মাঠিয়াডাঙ্গা গ্রামের রশিদ শেখের ছেলে ফরিদ শেখ (৩০) ও একই গ্রামের রউফ শেখের ছেলে তরিক শেখ (২৩)। তারা পরস্পর চাচাতো ভাই। বর্তমানে তারা লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে।

প্রতক্ষ্যদর্শী ও আহতদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শনিবার রাতে মাটিয়াডাঙ্গা গ্রামের হাই মুন্সির একটি ছাগল হারিয়ে যায়। ওই ছাগল চুরির অভিযোগে ফরিদ ও তরিককে রোববার সকাল ৮টার দিকে ধরে আনা হয়। পরে স্থানীয় নান্নু শেখের দোকানের পাশে দুটি গাছে দু’জনকে আলাদাভাবে দড়ি দিয়ে পিট মোড়া দিয়ে বেঁধে চালানো হয় নির্যাতন।

এ সময় কোটাকোল ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য আবু কালাম মুন্সির নেতৃত্বে নান্নু শেখ, আজমল মুন্সি, ইজাজুল মুন্সি ও রমজান মুন্সিসহ ৪/৫ জন তাদের বাঁশের লাঠি ও মুগুর দিয়ে বেধড়ক পেটায়। বিড়ির আগুন দিয়ে শরিরের বিভিন্ন জায়গা ছ্যাকা দেয়া হয় বলে আহতরা অভিযোগ করেছেন।

প্রায় ঘণ্টা দুয়েক ধরে চলা ওই নির্যাতনের মধ্যে নান্নু মুন্সির বাড়ি থেকে খবর আসে ছাগল বাড়ি ফিরে এসেছে। তখন ফরিদ ও তরিককে ছেড়ে দিয়ে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়। এ ঘটনায় ইউপি সদস্য কামালের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ঘটনার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম। তাদের গাঁজা খেতে নিষেধ করে ছেড়ে দেই। তাছাড়া এরা এলাকার চিহ্নিত চোর।

লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু হেনা মিলন মারধরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আইন কেউ নিজের হাতে তুলে নিতে পারে না। তাদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এটিএম/

Exit mobile version