Site icon Jamuna Television

সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, তলিয়ে যাচ্ছে অবশিষ্ট ধানসহ ফসলি জমি

সুরমাসহ সুনামগঞ্জের সব কয়টি নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে প্লাবিত হয়েছে জেলার নিম্নাঞ্চল। সড়কে পানি উঠে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে তাহিরপুর উপজেলার ৩ লাখের বেশি মানুষ। জেলার দোয়ারাবাজার, জামালগঞ্জ, ছাতক, দিরাই, বিশ্বম্ভরপুর ও জেলা সদরের নিম্নাঞ্চলের গ্রামগুলোতে পানি প্রবেশ করছে। বন্যার আতঙ্কে দিন কাটছে সেখানের বাসিন্দাদের। তলিয়ে যেতে শুরু করেছে হাওরের বাইরের অবশিষ্ট ধানসহ অন্যান্য ফসলি জমি। থেমে থেমেই ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় বন্যা আতঙ্ক বিরাজ করছে এই জেলায়।

এদিকে, মেঘালয়ে ভারি বর্ষণের কারণে সিলেটে আরও অবনতি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতির। যার প্রভাব পড়েছে ৪ উপজেলায়। সারি ও গোয়াইন নদীর পানি কিছুটা কমলেও বেড়েছে সুরমা ও কুশিয়ারার। উজানে ভারতের আসাম ও মেঘালয়ে ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় সোমবার নতুন করে বন্যাকবলিত ৬ উপজেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ইতোমধ্যে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে জেলা সদরের সাথে বিভিন্ন উপজেলার সড়ক যোগাযোগ।

প্লাবিত ৬ উপজেলার নিম্নাঞ্চলের অনেক জায়গায় ঘরবাড়ি-দোকানপাট এমনকি সড়কেও জমেছে কোমর পানি। পানিবন্দি থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সিলেটের জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জকিগঞ্জ কানাইঘাটের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। যোগাযোগ ব্যবস্থা কোথাও বন্ধ, কোথাও চরম দুর্ভোগ। এর মধ্যে সাপ-খোপ ও পোকামাকড়ের ভয়ে প্লাবিত এলাকাবাসীর কাটছে নির্ঘুম রাত। এর আগেই এপ্রিলের ঢলে সিলেট ও সুনামগঞ্জের হাওরের ধান হারিয়েছে কৃষক, আর এবারে ডুবলো উঁচু জমির ধানও।
/এডব্লিউ

Exit mobile version