
ছবি: সংগৃহীত
ন্যাটো সদস্য হিসেবে ফিনল্যান্ড ও সুইডেনকে দেখতে নারাজ তুরস্ক। এমনকি, দেশগুলোর প্রতিনিধিদের আসন্ন ইস্তাম্বুল সফরেও ক্ষুব্ধ দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। তিনি বলেছেন, সুইডিশ ও ফিনিশরা যদি তুরস্কের বরফ গলাতে চায়, তাহলে বলবো দয়া করে আসবেন না। খবর বিবিসির।
সামরিক জোটের সদস্য হতে নর্ডিক দেশগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন জানানোর পরই ক্ষোভ ঝাড়েন তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান। তিনি বলেন, তুরস্কের ওপর থেকে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পরই তিনি এই প্রস্তাব বিবেচনা করবেন। শুধু তাই নয়, এরদোগান সাফ হুঁশিয়ারি জানিয়ে বলেন, পিকেকে-ওয়াইপিজি’র মতো সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে ইন্ধন যোগানো কোনো দেশকে তিনি দেখতে চান না সামরিক জোটে। এর জন্য, যতোভাবে প্রয়োজন বিরোধিতা করবে আঙ্কারা।
ন্যাটো সম্মেলন শুরুর আগেই নিজ অবস্থান স্পষ্ট করেছিল তুরস্ক। দেশটি জানায়, দুটি শর্তে সম্মত হলেই ন্যাটো সদস্য হওয়ার সবুজ সংকেত পাবে ফিনল্যান্ড ও সুইডেন। এদিকে, রাশিয়া জানিয়েছে, ঐতিহাসিক ভুল করলো নর্ডিক দেশগুলো; যার মাশুল গুণতে হবে তাদের সরকারকে।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেন, সুইডিশ আর ফিনিশ প্রতিনিধিরা আগামী সপ্তাহেই ইস্তাম্বুল সফর করবেন। তারা যদি তুরস্কের বরফ গলাতে চায়, তাহলে বলবো দয়া করে আসবেন না। কারণ, আমাদের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা দেয়া দেশগুলো ন্যাটোর সদস্য হোক সেটা চাই না। আর দ্বিতীয় কথা হলো, সন্ত্রাসীদের ইন্ধনদাতারা একটি সামরিক জোটের অংশ হবে, সে বিষয়টাই গোলমেলে।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা; হুমকির মুখে তুরস্কের নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট
/এম ই
 
 
				
				
				 
 
				
				
			


Leave a reply