Site icon Jamuna Television

পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের হিড়িক, ঝুঁকিতে পদ্মা সেতুও

পদ্মার বুকে চলছ অবৈধ ড্রেজার।

শরীয়তপুর প্রতিনিধি:

পদ্মা নদী থেকে প্রতিনিয়ত অবৈধভাবে ব্যাপক হারে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে হুমকিতে পড়েছে তীরবর্তী শত শত একর ফসলি জমি ও বসতবাড়ি। ঝুঁকির মুখে পদ্মা সেতুও। পানি উন্নয়ন বোর্ডের মতে, অপরিকল্পিতভাবে বালু তোলায় পরিবর্তন হতে পারে নদীর গতিপথ। আর এর ফলে দেখা দিতে পারে ভাঙন।

পদ্মার জাজিরা প্রান্তে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে নদীর মাঝে সারি সারি অবৈধ ড্রেজার। এগুলোর মাধ্যমে অপরিকল্পিতভাবে তোলা হচ্ছে বালু। নদীর যে অংশে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে, তার পশ্চিমেই পদ্মা সেতু এবং দক্ষিণে পাইনপাড়া। স্থানীয়দের অভিযোগ, এর আগেও খনন করায় ভেঙেছে পাইনপাড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। সহায়সম্বল হারিয়েছে শত শত পরিবার। সেখানে আবারও বালু তোলায় বেড়েছে আতঙ্ক। স্থানীয়দের শঙ্কা, বর্ষায় এর প্রভাব পড়বে তীরবর্তী এলাকায়।

উত্তোলিত এসব বালু প্রতি ঘনফুট বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৪০ থেকে ৬০ পয়সা দরে। শত শত বাল্কহেডে এসব বালু পৌঁছানো হচ্ছে ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ, মাদারীপুর ও শরীয়তপুরসহ আশপাশের জেলায়। কর্মরত শ্রমিকরা জানায়, ম্যানেজ করেই চলছে ড্রেজারগুলো। এসব ড্রেজার মেশিন দিয়ে প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ লাখ ঘনফুট বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।

এ নিয়ে শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম আহসান হাবিব বলেন, গবেষণা ও নকশা ব্যতীত বালু উত্তোলনের ফল হতে পারে ভয়াবহ। নদীতে অবৈধ কোনো ড্রেজার পাওয়া গেলে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন ইউএনও কামরুল হাসান। তিনি বলেন, নদীতে ড্রেজিং বন্ধে আমরা কাজ করছি, এটি নিয়মিত মনিটরিংয়ের বিষয়। তিনি আরও বলেন, যেহেতু এই অংশে পদ্মাসেতু আছে, ফলে এই এলাকা খুব স্পর্শকাতর। এখানে কোনো ধরনের অবৈধ ড্রেজিং মেশিন চলবে না, এই নিশ্চয়তা আমরা দিতে পারি।

এসজেড/

Exit mobile version