Site icon Jamuna Television

পর্যাপ্ত তরঙ্গ বরাদ্দের পরও টেলিযোগাযোগ খাতে সেবার মান নিয়ে শঙ্কা

ছবি: সংগৃহীত।

গ্রাহক সেবার মান উন্নয়নে পর্যাপ্ত তরঙ্গ বরাদ্দ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। পৃথক দু’টি নিলামে এক বছরের মধ্যে তরঙ্গ কিনতে ১৮ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করেছে মোবাইল অপারেটররা। তবু সেবার মান নিয়ে শঙ্কা কাটছে না। টাওয়ার শেয়ারিং এবং অপটিক্যাল ফাইবার ট্রান্সমিশন জটিলতার কারণে পর্যাপ্ত তরঙ্গ পেলেও গ্রাহক পর্যায়ে সুফল মিলবে না বলে মনে করছে মোবাইল অপারেটররা। সমস্যার দ্রুত সমাধান না হলে তরঙ্গ খাতে এই বিপুল বিনিয়োগ তাদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক কমিশন (বিটিআরসি) গত ৩১ মার্চ দেশের সর্ববৃহৎ তরঙ্গ নিলামের আয়োজন করে। যেখানে গ্রামীণফোন ও রবি ৬০ মেগাহার্টজ করে স্পেকট্রাম কিনেছে। বাংলালিংক ৪০ এবং টেলিটক কিনেছে ৩০ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম। নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি মনে করছে, এতে গ্রাহক সেবার মানে উন্নতি ঘটতে শুরু করবে। তবে মোবাইল অপারেটররা বলছেন ভিন্ন কথা। টাওয়ার শেয়ারিং এবং অপটিক্যাল ফাইবার সংক্রান্ত জটিলতা এখনো নিরসন হয়নি। তাই স্পেকট্রাম খাতের এই বিশাল বিনিয়োগের সুফল পাওয়া নিয়ে আছে শঙ্কা।

এ নিয়ে রবির চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুরেটরি অ্যাফেয়ার্সের পক্ষ থেকে মো. শাহেদ আলম বলেন, শুধু একটি দিকে নয়, এ ক্ষেত্রে টোটাল ইকো সিস্টেম দেখতে হবে। টাওয়ার আর অপটিক্যাল ফাইবার সমস্যার সমাধান না হলে আমরা কাঙ্ক্ষিত সেবা পাবো না।

মূলত গ্রাহক সংখ্যার বিপরীতে, যে অপারেটরের হাতে যতো বেশি তরঙ্গ আছে, সেবার মানে তাদেরই এগিয়ে থাকার সুযোগ থাকবে। তরঙ্গ খাতে এই বিপুল বিনিয়োগকে কাজে লাগাতে হলে, লাস্ট মাইল ট্রান্সমিশনে নিজেদের অংশগ্রহণ চান অপারেটরা। সে ক্ষেত্রে বিটিআরসি থেকে ফাইবার কানেকটিভিটি নিজেরা করা গেলে এ সমস্যার অনেকটাই সমাধার করা যেতো বলে মনে করেন বাংলালিংকের চিফ কর্পোরেট এন্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্সের তাইমুর রহমান।

নিলামে ২ হাজার ৬০০ এবং ২ হাজার ৩০০ ব্যান্ডে তরঙ্গ বরাদ্দ দেয়া হয়। মূলত এ দুটি ব্যান্ড ফাইভ-জি সেবার জন্য ব্যবহার করা হয়। গাইড লাইন অনুযায়ী, অপারেটরদের প্রতি ফাইভ-জি’র প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরুর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। অপারেটররা বলছেন, ফাইভ-জি’র বাণিজ্যিক ব্যবহারের ক্ষেত্র এখনও প্রস্তুত নয়। বর্তমান তরঙ্গ দিয়ে ফোর-জি সেবার মান আরও বৃদ্ধি করা হবে। ক্রয়কৃত তরঙ্গ আগামী ৯ মাসের মধ্যে ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছে বিটিআরসি।

এসজেড/

Exit mobile version