Site icon Jamuna Television

টাইগাররা থামলো ৩৬৫ রানে, মুশফিক অপরাজিত ১৭৫

ছবি: সংগৃহীত

মিরপুর টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস থেমেছে ৩৬৫ রানে। ১৭৫ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহিম। এখন নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করছে শ্রীলঙ্কা। শেষ খবর পর্যন্ত তাদের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ২৮ রান।

এর আগে, দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই ভাঙে মুশফিক-লিটন জুটি। আগের দিনের ৫ উইকেট ২৭৭ রান নিয়ে সকালে মাঠে নামে বাংলাদেশ। মুশফিক ১১৫ আর লিটন দাস অপরাজিত ছিলেন ১৩৫ রান করে। কিন্তু দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরুর পর ৬ রান করেই আউট হয়ে যান লিটন। কাসুন রাজিথার পেসে ক্যারিয়ার সেরা ১৪১ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটার। আর এর মাধ্যমেই ভাঙে ২৭২ রানের রেকর্ড সৃষ্টিকারী এই জুটি। যেকোনো উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের ৩য় সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশিপ এটি। সেই সাথে, ৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে লিটন-মুশফিকের এই পার্টনারশিপটি সর্বোচ্চ।

২৯৬ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। প্রায় ৩ বছর পর টেস্ট খেলতে নেমে শূন্য রান করে মোসাদ্দেক সৈকত ফিরলে সপ্তম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। এরপর তাইজুল ১৫ রান করে ফেরেন ফার্নান্দোর বলে। আর রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন দুই পেসার খালেদ আহমেদ ও এবাদত হোসেন। তবে, একপ্রান্তে অবিচল ছিলেন মুশফিক। তবে দেড়শোর্ধ্ব ৫ম ইনিংসটিকে চতুর্থ ডাবল সেঞ্চুরিতে রূপ হয়তো দিতে পারতেন মুশফিক। সঙ্গীর অভাবে তা আর হলো না। তবে বাংলাদেশের স্কোরকার্ডটা বেশ অদ্ভুত দেখাচ্ছে। ২ অঙ্কের ঘরে রান করেছেন কেবল একজন, ৩ অঙ্কের ঘরে দুই সেঞ্চুরিয়ান এবং বাকি ৮ ব্যাটার করেছেন ১ অঙ্কের ঘরে। সেই সাথে, এক ইনিংসে ৬টি ‘ডাক’ নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত এক রেকর্ডেও আরেকবার নাম লিখিয়েছে বাংলাদেশ। সেখানে আছে পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার নাম। ৬টি ডাকের তালিকায় একমাত্র বাংলাদেশের নামই এসেছে দ্বিতীয়বার।

লিটনের মতো ক্যারিয়ার সেরা পারফর্ম করেছেন কাসুন রাজিথাও। লঙ্কান এই পেসার ৬৪ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। আসিথা ফার্নান্দো নিয়েছেন ৪ উইকেট।

আরও পড়ুন: সকালে থাকলে তো হার্ট অ্যাটাকই করে ফেলতাম: পাপন

/এম ই

Exit mobile version