Site icon Jamuna Television

তরুণীকে ভারতে নিয়ে দেহব্যবসায় বাধ্য করে দেশে ফিরে বিয়ে; ফের পাচার করে কারাগারে

কয়লা ধুলে ময়লা যায় না। হবিগঞ্জের আলোচিত ধর্ষণ ও মানবপাচার মামলার প্রধান আসামি সোহেল মিয়াকে (২৭) নিয়ে এ কথা বলাই যায়। এক তরুণীকে ভারতে পাচার করে দেহব্যবসায় বাধ্য করেন তিনি। পরে তরুণী দেশে ফিরে আসলে তাকেই বিয়ে করেন সোহেল। ফের পাচার করলে তরুণী দেশে ফিরে সোহেলের বিরুদ্ধে মামলা দেয়। এ মামলায় শেষ পর্যন্ত র‍্যাপিড একশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) হাতে গ্রেফতার হন তিনি।

আজ মঙ্গলবার (২৪ মে) সকাল ১০টায় মৌলভীবাজার সদর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে র‍্যাব-৯ সিপিসি-১ হবিগঞ্জ ক্যাম্পের একটি দল। দুপুরে র‍্যাব-৯ সিপিসি-১ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ক্যাম্প কমান্ডার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান। আটককৃত সোহেল মিয়া নবীগঞ্জ উপজেলার বেতাপুর গ্রামের কিবরিয়া আহমদের ছেলে।

জানা যায়, তিন বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে পাবনার এক তরুণীর সাথে পরিচয় হয় সোহেলের। পরিচয়ের সুবাদে সোহেল ওই তরুণীকে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ভারত নিয়ে যায়। সেখানে ওই তরুণীকে আটকে রেখে দেহব্যবসায় বাধ্য করে। এর কিছুদিন পর ওই তরুণী দেশে ফিরে আসলে সোহেলও দেশে ফিরে তরুণীকে বিয়ে করে। এর কিছুদিন পর তিন বিঘা করিডোর দিয়ে দহগ্রামে নিয়ে গিয়ে সোহেল তার বন্ধুসহ তরুণীকে ধর্ষণ করে এবং আবারও ভারতে পাচার করে দেয়।

পরে ওই তরুণী কৌশলে দেশে ফিরে ২১ মে সোহেলসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন এবং মানব পাচার প্রতিরোধ আইনে মামলা করেন। পাটগ্রাম থানা পুলিশ ওই দিন রাতেই অভিযান চালিয়ে আশরাফুল ইসলাম, মোকছেদুল হক ও চম্পা বেগমকে গ্রেফতার করে।

জেডআই/

Exit mobile version