Site icon Jamuna Television

সাময়িক বরখাস্ত হলেন যবিপ্রবির জনসংযোগ কর্মকর্তা

বরখাস্তকৃত জনসংযোগ শাখার উপ-পরিচালক মো. হায়াতুজ্জামান।

স্টাফ করেসপনডেন্ট, যশোর:

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জনসংযোগ শাখার উপ-পরিচালক মো. হায়াতুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ সংক্রান্ত কাজে অনৈতিক পন্থা অবলম্বনের অভিযোগ পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার (২৪ মে) রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী ড. আহসান হাবীব স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে হায়াতুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। একই সাথে এ বিষয়ে তদন্তের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক জিন প্রকৌশল ও জৈবপ্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. নাজমুল হাসান, সদস্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ড. এ এস এম মুজাহিদুল হক, সদস্য সচিব পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আমিনুল হক। তদন্ত কমিটিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যবিপ্রবির রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী ড. আহসান হাবীব।

যবিপ্রবি’র রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী ড. আহসান হাবীব স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ শাখার উপ-পরিচালক মো. হায়াতুজ্জামানের বিরুদ্ধে নিয়োগ সংক্রান্ত কাজে অনৈতিক পন্থা অবলম্বনের অভিযোগ পাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সাধারণ আচরণ, শৃঙ্খলা ও আপীল সংক্রান্ত বিধি মোতাবেক তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।

তবে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অফিস আদেশে অনৈতিক পন্থা অবলম্বন করার কথা উল্লেখ করলেও মূল অভিযোগের বিষয়টি পরিস্কার করেননি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চাকুরীপ্রার্থীদের নিকট মুঠোফোনে অর্থ দাবি করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ শাখার উপ-পরিচালক মো. হায়াতুজ্জামান।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৪ মে) যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাটা অপারেটর পদে নিয়োগ পরীক্ষার ব্যবহারিক ও ভাইভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যবহারিক পরীক্ষার সময় চাকুরী প্রার্থীদের মুঠোফোন বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু, এ সময় হঠাৎ একজন চাকুরীপ্রার্থীকে মুঠোফোনে কথা বলতে দেখেন একজন পরীক্ষা পরিদর্শক। পরিদর্শক পরীক্ষার্থীর ফোনটি নিয়ে নম্বর চেক করে দেখেন যে চাকুরীপ্রার্থীর ফোনের অপর প্রান্তে রয়েছেন যবিপ্রবির জনসংযোগ শাখার উপ-পরিচালক হায়াতুজ্জামান। এরপর, পরীক্ষা পরিদর্শকগণ প্রার্থীর মুঠোফোনের কল রেকর্ডটি উদ্ধার করেন। এবং ওই প্রার্থীর পরীক্ষা বাতিল করা হয়। মুঠোফোনের রেকডিংয়ে ও পরবর্তীতে চাকুরীপ্রার্থীকে করা জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য উঠে আসে।

এ বিষয়ে যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ওই চাকুরীপ্রার্থীর ফোনের রেকর্ডিং ও প্রার্থীর জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিকভাবে বোঝা গেছে যে, প্রার্থীর সাথে কর্মকর্তার নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে।

এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার পর রিজেন্ট বোর্ডের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানা গেছে। তবে এই বিষয়ে অভিযুক্ত যবিপ্রবি রেজিস্ট্রার দফতরের জনসংযোগ শাখার উপ-পরিচালক হায়াতুজ্জামান কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

/এসএইচ

Exit mobile version