Site icon Jamuna Television

রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে গমের সরবরাহ বন্ধ, সঙ্কটে গাজাবাসী

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, সরবরাহ বন্ধ থাকলে আর মাত্র তিন মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে গাজা উপত্যকার খাদ্যের মজুদ।

সারা বিশ্বের মতো রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডেও। কৃষ্ণসাগর হয়ে আসা গমের সরবরাহ বন্ধ হওয়ায় বড় ধরনের সঙ্কটে অবরুদ্ধ উপত্যকার বাসিন্দারা। বন্ধ হয়ে গেছে সেখানকার বেশিরভাগ গম ভাঙানোর কারখানা, বেড়ে গেছে গমজাত খাদ্যপণ্যের দাম। বেশিরভাগ পরিবারেই জুটছে না দুই বেলার রুটি। খবর ফোর্বসের।

অবরুদ্ধ গাজায় এখন গম উৎপাদনের মৌসুম। তবে বছরেজুড়ে যা ফসল উৎপাদন হয়, তা দিয়ে উপত্যাকার ২৩ লাখ মানুষের হয় সর্বোচ্চ এক সপ্তাহের রুটির যোগান।

তাই ইউক্রেনই ছিল এ অঞ্চলের অন্যতম ভরসাস্থল। দেশটি থেকে কম দামে গম এনে ভাঙানো হতো এই কারখানায়। তবে রুশ হামলার পর থেকেই বন্ধ গম আমদানি। বিকল্প হিসেবে মিসর ও পশ্চিম তীর থেকে বেশি দামে গম কিনতে হচ্ছে তাদের। আর এ কারণেই বাজারে আটা-ময়দা বা রুটির দাম বেড়েছে ২০ শতাংশ পর্যন্ত।

গাজার স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, এখানে যে গম উৎপাদিত হয়, তা যথেষ্ট নয়। আমাদের এক বেলার রুটিরও যোগাড় হয় না এতে। আগে ৫০ কেজির বস্তা কিনতাম ৯৭ শেকেল দিয়ে। এখন এক বস্তা কিনতে ১২০ শেকেল খরচ হচ্ছে।

দুঃশ্চিন্তা বেড়েছে গৃহিণীদেরও। স্থানীয় এক গৃহবধূ জানান, খাবারের দাম বেড়ে নিঃশ্বাস বন্ধ হওয়ার যোগাড়। কারণ, আমার বেশি দামে কেনার সামর্থ্য নেই। বাচ্চাদের কী খাওয়াবো?

জানা গেছে, গাজার ৫ কারখানার ৪টিতেই নেই গমের মজুত। তাই বন্ধ হয়ে গেছে কার্যক্রম। সবচেয়ে বড় কারখানাটিও খালি হবার পথে। বাধ্য হয়ে করতে হয়েছে কর্মী ছাটাই। কমানো হয়েছে কর্মঘণ্টাও। গাজার স্থানীয় এক কারখানার মালিক বলেন,

গাজার একজন মিল মালিক বললেন, কারখানায় বড় জোর দুই বা তিন মাসের মজুত আছে। আগে দৈনিক ৪শ’ টন গম ভাঙানো হতো। আর এখন বেশিরভাগ মেশিনই বন্ধ। সত্যি বলতে, এখানে অবস্থা খুবই খারাপ। মানুষের হাতে কাজ নেই, আয়ও খুব সামান্য। এক পয়সা দাম বৃদ্ধিও এখানকার মানুষের জন্য অনেক বড় বিষয়।

প্রসঙ্গত, গাজার দুই-তৃতীয়াংশ নাগরিক জাতিসংঘ ও অন্যান্য সংস্থার ত্রাণের ওপর সরাসরি নির্ভরশীল। যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাড়তি অনুদানের দিকে তাকিয়ে দাতা সংস্থাগুলো।

/এসএইচ

Exit mobile version