Site icon Jamuna Television

চীনকে ঠেকাতে ৫০ বিলিয়ন ডলারের পরিকল্পনা ঘোষণা করলো কোয়াড

বৈঠক শেষে চার শীর্ষ কোয়াড নেতা।

ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা জোট কোয়াডের সদস্য যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ নেতারা সমুদ্রে অবৈধ মাছ শিকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের উদ্যোগ নিচ্ছেন। এ অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবেলার অংশ হিসেবে ইন্দো-প্যাসিফিকের অবকাঠামো উন্নয়নে ৫০ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। খবর আলজাজিরার। 

মঙ্গলবার (২৪ মে) টোকিওতে কোয়াডের দ্বিতীয় বৈঠকের পর জোটের চার শীর্ষ নেতার উপস্থিতিতে এমন ঘোষণা এসেছে। 

জানা গেছে, চীনের অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তি মোকাবিলায় গঠিত কোয়াড জলবায়ু পরিবর্তন, প্রযুক্তি, করোনা মহামারি এবং ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের পরিণতি নিয়েও আলোচনা করেছে।

আলোচনা শেষে দেয়া যৌথ এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অস্ট্রেলিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ বলেন, কোয়াডের সর্বশেষ পদক্ষেপের লক্ষ্য হলো এটি দেখানো যে কোয়াড একটি শুভশক্তি। গুরুতর বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের সময়ে এ অঞ্চলে বাস্তব সুবিধা আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এই জোট।

চীনের নাম উল্লেখ না করে বিবৃতিতে নেতারা বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিকের শান্তি বিনষ্ট করতে চায় এমন যে কোনো জবরদস্তিমূলক, উস্কানিমূলক বা একতরফা পদক্ষেপের বিরোধিতা করেন তারা। এর মধ্যে রয়েছে বিতর্কিত বৈশিষ্ট্যের সামরিকীকরণ, উপকূলরক্ষী জাহাজ এবং সামুদ্রিক মিলিশিয়ার বিপজ্জনক ব্যবহার এবং অন্যান্য দেশের উপকূলীয় সম্পদ আহরণ কার্যক্রম ব্যাহত করার প্রচেষ্টা প্রভৃতি। এ সকল অভিযোগ যে স্পষ্টতই চীনের বিরুদ্ধে আরোপ করা হয়েছে তা বেশ ভালভাবেই ফুটে উঠেছে শীর্ষ চার কোয়াড নেতার বক্তব্যে।

কোয়াড যে নতুন সামুদ্রিক নজরদারির উদ্যোগ নিয়েছে তার নাম ‘ইন্দো-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ ফর মেরিটাইম ডোমেন অ্যাওয়ারনেস’। এটি মানবিক ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে সাড়া দিতে এবং অবৈধ মাছ ধরা মোকাবিলায় আঞ্চলিক অংশীদারদের সাথে কাজ করবে বলে জানা গেছে।

কোয়াড নেতারা অবকাঠামোতে সহযোগিতা আরও সুদৃঢ় করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, এই ধরনের বিনিয়োগ ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে উৎপাদনশীলতা এবং সমৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে রয়েছে ঋণসংক্রান্ত সমস্যা সমাধান এবং আগামী পাঁচ বছরে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে অবকাঠামোগত সহায়তা এবং বিনিয়োগ ৫০ বিলিয়ন ডলারের বেশি প্রসারিত করা। নেতারা প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপ দেশগুলোর জন্য অতিরিক্ত সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এ দেশগুলোতে সম্প্রতি চীনের প্রভাব আগের চেয়ে বেড়েছে।

/এসএইচ

Exit mobile version