Site icon Jamuna Television

পাকিস্তানে প্রথম দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বিচারক হচ্ছেন ইউসুফ সালিম

চোখের দিক থেকে অন্ধ হলেও মন তার অন্ধ ছিল না। স্বপ্ন দেখেছিলেন একদিন বিচারক হবেন। পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন শেষ করে সব নিয়ম মেনে পরীক্ষা দেন পাকিস্তান জুডিশিয়াল সার্ভিসে। লিখিত পরীক্ষার ফলাফলে সাড়ে ৬ হাজার চাকরিপ্রার্থীর মধ্যে প্রথম হন ইউসুফ সালিম। চূড়ান্ত ভাইবার জন্য সুপারিশ করা হয় ২১ জনকে। তাদের মধ্যে স্থান পায় ইউসুফের নামও।

কিন্তু ভাইবা বোর্ডে গিয়েই গোল বাঁধে। সফলভাবে পরীক্ষকদের মুখোমুখি হলেও অন্ধ হওয়ার কারণে তাকে বাদ পড়তে হয়। স্বপ্ন যেন তীরে এসে ডুবতে বসে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে গোল্ড মেডেলিস্ট ইউসুফের।

ঘটনা জানতে পেরে কর্তৃপক্ষে প্রতি সুয়োমুটো রুল জারি করেন পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি মিজান সাকিব নিসার। শুনানি শেষে আদালত রায় দেয়, যদি অন্যান্য সব দিক থেকে ইউসুফ নিয়োগের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হন, তাহলে শুধু তার চোখ না থাকার কারণে তাকে বাদ দেয়া যাবে না।

আদালত আরও বলেন, পাকিস্তানের সংবিধানের ৯, ১৪ ও ২৫ ধারা মোতাবেক এবং জাতিসংঘের সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা অনুযায়ী, কোনো যোগ্য ব্যক্তিকে তার শারিরীক প্রতিবন্ধকতার কারণে কোনো বঞ্চিত করার সুযোগ নেই।

প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপের পর বিচারক নিয়োগ কমিটি তাদের আগের সিদ্ধান্ত বদলায়। নিজের যোগ্যতাবলে অবশেষে স্বপ্ন হয় ইউসুফের।

চার ভাইবোনের মধ্যে ইউসুফ সালিম সবার ছোট। তার অন্য দুই বোন তার মতো জন্মগতভাবে অন্ধ। বড় বোন সাইমা সালিম ২০০৭ সালে পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে ৬ষ্ঠ স্থান অধিকার করে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ পান। বর্তমানে পাকিস্তানের জাতিসংঘ মিশনে দায়িত্ব পালন করছেন সাইমা।

 

Exit mobile version