Site icon Jamuna Television

সুনামগঞ্জে বানভাসিদের আর্তনাদ, আমরা নাহয় না খেয়ে থাকলাম, বাচ্চারা তো কাঁদে

বন্যায় বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি, সুনামগঞ্জের বানভাসিদের নেই মাথা গোঁজার ঠাঁই। সংগৃহীত ছবি।

বন্যায় বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি, নেই মাথা গোঁজার অবস্থা। বানের জল ভাসিয়ে নিয়ে গেছে সব। পানি নামতে থাকায় এখন আশ্রয়কেন্দ্র থেকেও চলে যেতে বলা হচ্ছে। কিন্তু শিশু সন্তানদের নিয়ে যাবেন কোথায়, আর খাবেনই বা কী? সেই চিন্তায় দিশেহারা সুনামগঞ্জের পান্না বেগম।

সুনামগঞ্জের প্লাবিত এলাকায় সারিসারি ডুবে থাকা ঘরের মধ্যে একটি পান্না বেগমের। ঘরে ঢুকেই চোখে পড়ে পান্না বেগমের স্বামী মঈনুল বানের জলে ভেঙে যাওয়া ঘর কোনোরকম জোড়াতালি দেয়ার চেষ্টা করছেন৷ মঈনুল জানালেন, আশ্রয়কেন্দ্র থেকে চলে যেতে বলছে, তাই কোনোরকম ঘর ঠিক করে থাকার মত করার চেষ্টা করছেন তারা।

বন্যা শুরু হলে রাতারাতি ঘরের মেঝেতে পানি ওঠে। পর দিন সেই পানি কোমড় ছোঁয়। এর মধ্যেই ইট দিয়ে খাঁট উচু করে দুই দিন সন্তানদের দিয়ে খেয়ে না খেয়ে ছিলেন তারা। তারপর পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে থাকায় ঘর ছেড়ে পাশের আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নেন পান্না-মঈনুল দম্পতি। পান্না জানান, অবস্থা এখন এমন যে, কারো সাহায্য ছাড়া ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। বলেন, এখন সরকার যদি আমাদের দিকে তাকায়!

এদিকে বন্যার কারণে দিনমজুরের কাজ নেই মঈনুলের। ঘরের খাবার শেষ, বিশুদ্ধ পানির সংকট তো আছেই। এতো দুর্দশা, তারপরও খবর নেয়নি কেউ। এখন কীভাবে চলবে তাদের সংসার সেই চিন্তায় দিশেহারা তারা। মঈনুল আক্ষেপ নিয়ে বলেন, নিজেরা ঠিকমত খেতে পারছি না, বাচ্চাদেরও খাওয়াতে পারছি না। আমরা না হয় কষ্ট করে না খেয়ে থাকতে পারি৷ কিন্তু বাচ্চারা তো শোনে না। কান্না করে।

/এডব্লিউ

Exit mobile version