Site icon Jamuna Television

নদী সম্মেলন: তিস্তাসহ ৫৪ নদী রক্ষা ও সদ্ব্যবহার নিশ্চিতের তাগিদ

পানির ন্যায্য বন্টন নিশ্চিত করতে না পারলে হুমকির মুখে পড়তে পারে এই অঞ্চলের নিরাপত্তা আর স্থিতিশীলতা। এমন আশঙ্কা করে তিস্তাসহ অভিন্ন ৫৪ নদী রক্ষা এবং এসবের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করার তাগিদ এসেছে আসামের নদী সম্মেলনে। দু’দেশের বিশেষজ্ঞরাই সংকট মোকাবেলায় একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

দুইদিনের এ সম্মেলন গতকাল শনিবার (২৮ মে) ভারতের আসামের গোহাটিতে শুরু হয়। ভাটির দেশ হিসেবে বাংলাদেশের যে ঝুঁকি বেশি, নদী সম্মেলনে উঠে আসে সে কথাও।

সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, আমরা যেহেতু নিম্নাঞ্চলে থাকি, সেহেতু অনেক সময় পানির কারণে বন্যা হয়। শুধু সেটা নয়, পানি ভাগাভাগিতে আমাদের ন্যায্যতা দরকার।

ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির মারপ্যাচে ঝুলে গেছে তিস্তার পানিবন্টন চুক্তি। কবে নাগাদ এর সমাধান আসবে, তাও অজানা। সম্মেলনে আলোচনায় আসে দু’দেশের অভিন্ন নদী রক্ষার গুরুত্বের কথা।

ভারতের নদী বিশেষজ্ঞ উত্তম সিনহা বলেন, এটা (তিস্তার পানিবন্টন) আলোচনার টেবিলে আছে। পশ্চিমবঙ্গের সরকারকে রাজি করাতে হবে এবং বুঝাতে হবে, তিস্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজন।

অন্যদিকে এশিয়ান কনফ্লুয়েন্স এর পরিচালক সব্যসাচী দত্ত মনে করিয়ে দেন, তিস্তা ছাড়া আরও অনেকগুলো নদী আছে। এগুলোকে কীভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা যায় এ বিষয়েও কথা চলছে বলে জানান তিনি।

নদীর সাথে কেবল জীবন জীবিকা নয়, নিরাপত্তার বিষয়ও জড়িত বলে মত দেন বিশেষজ্ঞরা। তাই এ ইস্যুতে ন্যায্যতা নিশ্চিতের তাগিদ দেন অনেকে।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন বলেন, পানি বন্টন যেমন প্রযোজন, তেমনি পানি ব্যবহার করে যে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে, সেটিরও সুযোগ নেয়া। এটিও এক ধরনের নতুন ডাইমেনশন।

পানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আইনুন নিশাত বলেন, সম্মেলনের প্রথমদিনে আমাকে সরাসরি একজন জিজ্ঞাসা করেছে, এটি করলে ভারতের কী লাভ হবে? এসব প্রশ্নের উত্তর গবেষক, সরকারের নীতি-নির্ধারকদের তৈরি করতে হবে।

পরবর্তী নদী সম্মেলন আগামী বছর বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

/এমএন

Exit mobile version