দখলকৃত পশ্চিম তীরে তাণ্ডব চালিয়েছে কট্টরপন্থী ইহুদিরা। সোমবার (৩০ মে) পর্যন্ত ইহুদিদের তাণ্ডবে আহত হয়েছে কমপক্ষে দেড়শো মানুষ।
রোববার তথাকথিত ফ্ল্যাগ মার্চ (জেরুজালেমে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার বার্ষিকীতে প্রতিবছর পতাকা মিছিল করেন ইহুদিরা)-এর অজুহাতে বুনো উল্লাসে মেতে ওঠে জায়নবাদীরা। হাজার-হাজার কট্টরপন্থী ইহুদি প্রবেশ করে পবিত্র আল-আকসা প্রাঙ্গনে। এর প্রতিবাদ জানাতে গেলে, ফিলিস্তিনিদের ওপর চড়াও হয় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। মুহূর্তেই রণক্ষেত্রে পরিণত হয় গোটা এলাকা। আহত হন অর্ধ-শতাধিক ফিলিস্তিনি। খবর আল জাজিরার।
এদিকে, শেখ জাররাহ এবং নাবলুসের দক্ষিণাঞ্চলে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে দখলদাররা। সেখানে বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের ঘরবাড়িতে চালায় ভাঙচুর; ছোড়ে ককটেল। যানবাহনেও করে অগ্নিসংযোগ। ফিলিস্তিনিরা এর প্রতিবাদ জানালে, উল্টো টিয়ার গ্যাস-রাবার বুলেট ও স্টান গ্রেনেড ছুড়ে তাদের প্রতিহত করা হয়।
গত বছর ইহুদি মিছিলে হামাস রকেট হামলা চালায়। এরপরই শুরু হয় সংঘর্ষ। যা ১১ দিন দীর্ঘস্থায়ী হয়েছিল। এতে নারী ও শিশুসহ নিহত হন অন্তত আড়াইশো জন। ইসরায়েলের নিহত হন ১৩ জন। এই ঘটনায় নতুন করে ফের সংঘাতের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: পুতিনের অসুস্থতা নিয়ে যা জানালেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জেডআই/

