Site icon Jamuna Television

অধিনায়কত্বের তৃতীয় মেয়াদেও সাকিবের সামনে উইন্ডিজ

ফাইল ছবি

মাস পাঁচেক আগে অধিনায়কত্ব নিয়ে নিজের ভাবনার কথা যমুনা টেলিভিশনকে জানিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। অধিনায়কত্ব পেতে চান কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে সাকিব বলেছিলেন, যদি ক্রিকেট বোর্ড মনে করে আমি অধিনায়কত্ব করলে দলের জন্য ভালো হবে তাহলে সেটা ভেবে দেখবো। যে পরিস্থিতির কথা সাকিব বলেছিলেন, বছর না যেতেই সেই পরিস্থিতির মুখোমুখি বাংলাদেশ ক্রিকেট। মাথার উপর বোঝা বেড়ে যাওয়ায় টেস্ট অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন মুমিনুল হক। সাদা পোশাকে আবারও তাই সাকিবের উপর ভরসা রেখেছে বিসিবি।

অধিনায়ক হিসেবে সাকিবের চ্যালেঞ্জের শুরুটা ২০০৯ সালে  উইন্ডিজ সফরে। সেবার মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার ইনজুরির কারণে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কত্ব দিয়ে শুরু। খর্বশক্তির দল হলেও ২ ম্যাচের সিরিজটা সাকিবের নেতৃত্বেই স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু প্রথম মেয়াদে পাওয়া সেই দায়িত্বে ২ টেস্ট বাদে পরের ৮ টেস্টের ৮টিতেই হেরেছিল বাংলাদেশ।

২০১৮ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে আবারও উইন্ডিজ সফরে আধিনায়কত্বের দায়িত্ব পেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। ১ বছর মেয়াদি সেই দায়িত্বে ৫ টেস্টের ২টিতে জিতে বাংলাদেশ। তবে, সেই মেয়াদের শেষটা হয়েছে আফগানিস্তানের সাথে হেরে।

মেয়াদটা আরও বাড়তো, যদি না ম্যাচ ফিক্সিংয়ের তথ্য গোপন করার জন্য নিষিদ্ধ না হতেন নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডার। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরে এসেছেন, ফিরে এসে এবার অধিনায়কত্বও পেলেন। যা ক্রিকেট ইতিহাসে বিরল ঘটনার একটি। তবে তিনি সাকিব আল হাসান; যিনি সবসময়ই সারপ্রাইজ প্যাকেজ, সবসময়ই এক্সেপশনাল। দেখা যাক, নিজের অধিনায়কত্বের তৃতীয় মেয়াদের কী করতে পারেন সাকিব।

জেডআই/

Exit mobile version