Site icon Jamuna Television

রাজধানীতে ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য

ছবি: সংগৃহীত

কিছুতেই কমছে না ছিনতাই। রাজধানী ঢাকায় থামানো যাচ্ছে না ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য। কী দিন, কী রাত, ফাঁকা রাস্তা অথবা যানজটে ছিনতাইয়ের কবলে পড়ছে নগরবাসী। কোনো কোনো ক্ষেত্রে থানায় গিয়েও করতে হয় নিখোঁজের জিডি। ছিনতাইয়ের তদন্তও খুব একটা এগোয় না। তবে পুলিশ বলছে, ছিনতাই প্রতিরোধে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।

ব্যাংকার সাজিয়া বিনতে সেলিম। ৩০ মে সোমবার সন্ধ্যার পর রাজধানীর রামপুরা প্রধান সড়ক দিয়ে যাচ্ছিলেন। প্রচণ্ড যানজটে রিকশায় বসে থাকা অবস্থায় তার কান থেকে স্বর্ণের দুল নিয়ে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারী। কানের লতি ছিঁড়ে যায় অন্তঃসত্ত্বা সাজিয়ার। কানে ৭টি সেলাই নিয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত এই ভুক্তভোগী।

ভুক্তভোগী সাজিয়া বিনতে সেলিম বলেন, আমি যে সাথে সাথে ওই লোকটার পেছনে যাবো তার কোনো সুযোগ ছিল না। পরে আমি বেটারলাইফ হাসপাতালে যাই। আমার কানে ৬/৭টি সেলাই লেগেছে।

১ জুন বুধবার দুপুরের ঘটনা। গুলিস্তানে সচিবালয়ের কড়া নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে একজনের ব্যাগ টান দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে ছিনতাইকারী। তাকে হাতে নাতে ধরে ফেলেন ভুক্তভোগী, তারপর শুরু হয় উত্তম-মধ্যম।

রাজধানীতে রিকশা-গাড়ি বা বাসে বসে; এমনকি হেটে যাওয়ার সময়ও ছিনতাইয়ের কবলে পড়ছেন মানুষ। একটা সময় রাতে ফাঁকা সুনসান রাস্তায় ছিনতাইয়ের ঘটনা বেশি ঘটতো। এখন যানজটে-দিনেদুপুরেও নিঃস্ব হচ্ছে অনেকে। ঢাকার প্রতিটি থানায় অন্তত ৫ থেকে ৭ এলাকা ছিনতাইপ্রবণ। ব্যাংকার সাজিয়া রামপুরায় যেখানে ছিনতাইয়ের শিকার হন, সেখানে প্রায় প্রতিদিনই এমন ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

স্থানীয়রা জানান, যখন জ্যাম লাগে তখন মানুষ এইরকম হয়রানির শিকার হয়। অনেকের কানের দুল, মোবাইল এবং ব্যাগ টান দিয়ে নিয়ে যায়। কেউ কেউ বলছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থাকলেও তারা ততটা তৎপর না।

পুলিশ বলছে, ঢাকায় মাসে গড়ে ৬০-৭০ ছিনতাইকারীে আটক হলেও অল্প দিনের মধ্যেই জামিনে বেরিয়ে যায় তারা।

ডিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) হাফিজ আল আসাদ বলেন, কমিশনার স্যার আমাদের নির্দেশনা দিচ্ছেন যাতে ছিনতাই না হয়। এবং ছিনতাই প্রতিরোধ কল্পে সতর্ক থাকতে আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। আমাদের টহল কার্যক্রম জোরদার করতেও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

ভুক্তভোগী অনেকের অভিযোগ, রাস্তায় ছিনতাই হলেও থানায় গেলে মামলা না নিয়ে জিডি নেয় পুলিশ।

ইউএইচ/

Exit mobile version