Site icon Jamuna Television

‘রাত থেকে সব হাসপাতাল খুঁজছি, কোথাও পাইনি ভাইকে’

ভাইয়ের ছবি নিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুণছেন এই ব্যক্তি।

সীতাকুণ্ডে সংঘটিত হয়েছে স্মরণকালের মধ্যে ভয়াবহতম অগ্নিকাণ্ড। এখন পর্যন্ত সেখানে ৪৪ জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। জানা গেছে, ভেতরে থাকতে পারে আরও লাশ, যা হয়তো থেকে থেকে হওয়া বিস্ফোরণে হয়ে গেছে নিশ্চিহ্ন। আর এমন শঙ্কায় প্রিয়জনের খোঁজে হাসপাতাল ও দুর্ঘটনাস্থলে অপেক্ষায় পাগলপ্রায় স্বজনরা। নিজ ভাইয়ের ছবি নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন এক যুবক। শনিবার রাতের পর থেকে ভাইয়ের খোঁজ পাননি তিনি। কণ্ঠে শঙ্কা নিয়ে বললেন, রাত থেকে সব হাসপাতাল খুঁজেছি। কিন্তু কোথাও পাইনি ভাইকে।

ভাইয়ের ছবি হাতে নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন এই ব্যক্তি। বললেন, ইনি আমার বড় ভাই। ১৫ বছর যাবত তিনি কাভার্ড ভ্যান চালান। উনি কাল গিয়েছিলেন গাড়ি লোড করতে। আগুন ধরার পর ভাবিকে ফোন করে ভাই বলেছেন, আজ আর গাড়ি লোড হবে না। আমি চলে আসবো। এই কথা বলার পর বড় বিস্ফোরণ হয়। এরপর থেকে আমার ভাইয়ের ফোন বন্ধ। সারারাত ভাইকে খুঁজছি সব হাসপাতালে। কোথাও বাদ রাখিনি। সব জায়গায় খুঁজছি। এখনও পর্যন্ত আমার ভাইয়ের হদিস পাইনি আমরা।

হাতে নিজ ভাইয়ের পাসপোর্ট সাইজের ছবি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা যুবক শঙ্কা জড়ানো কণ্ঠে আরও বলেন, ভাইয়ের শেষ কথা ছিল, তিনি আজ চলে আসবেন। কিন্তু ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি, ভাইয়ের গাড়ি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। হাসপাতালের সব লাশও দেখেছি, কিন্তু আমার ভাইকে পাইনি। জীবিত বা মৃত, যেকোনো অবস্থায় ভাইকে চাই।

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে লাগা আগুনে উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়া ৯ জন ফায়ার সার্ভিসকর্মীসহ এ পর্যন্ত ৪৪ জনের প্রাণ হারানোর খবর পাওয়া গেছে। তার মধ্যে মরদেহ শনাক্ত করা গেছে ৭ জনের।

আরও পড়ুন: নিহতদের ২ লাখ এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা সহায়তা দেয়া হবে: শ্রম প্রতিমন্ত্রী

/এম ই

Exit mobile version