Site icon Jamuna Television

সহকর্মীর নিথর দেহ নিয়ে ফায়ার ফাইটারদের শবযাত্রা

বিভীষিকাময় দিন কাটছে চট্টগ্রামের ফায়ার ফাইটারদের।

জীবনবাজি রেখে দায়িত্ব পালনের নজির গড়লেন ফায়ার ফাইটাররা। চোখের সামনে সহকর্মীর মৃত্যু, ক্ষতবিক্ষত শরীর দেখেও বিচলিত হননি তারা। দুর্ঘটনাস্থলে একেকজন যেন অকুতোভয় সৈনিক, যারা সীমাবদ্ধতা নিয়েও লড়ে গেছেন প্রাণ বাজি রেখে। সহকর্মীর নিথর দেহ নিয়ে এ যেন অন্যরকম এক শবযাত্রা।

নেই কোনো শেষকৃত্যের আয়োজন, নেই কোনো শেষ যাত্রা, নেই আতর-গোলাপের গন্ধ, নেই অশ্রুর বন্যা। সকল আবেগ লুকিয়ে আবার উদ্ধার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়াই যেন এই ফায়ার ফাইটারদের নিয়তি। শনিবার (৪ জুন) রাত থেকে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুনে হতাহত সহকর্মীদের রক্ত দেখেও বিচলিত হননি ফায়ার ফাইটাররা, একবিন্দু পিছপা হননি দায়িত্ব পালনে। একজন কর্মী জানান, আগুনের খবর পেয়ে সীতাকুণ্ড ও চট্টগ্রাম থেকে ফায়ার ফাইটাররা ফ্রন্টলাইনে লড়তে থাকেন। এরপর দুটি কনটেইনার বিস্ফোরণের ফলে তারা নিজেরাই দুর্ঘটনার শিকার হন।

ফায়ার ফাইটার মনিরুজ্জামানের লাশ বয়ে নিচ্ছেন তার সহকর্মীরা।

ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের অক্লান্ত চেষ্টা, জীবনবাজি রেখে লড়াই, আর মৃত্যুকে আলিঙ্গন করার দৃষ্টান্ত মনিরুজ্জমান। এক সপ্তাহ আগে জন্ম নেয়া প্রথম সন্তানের মুখ দেখতে কুমিল্লার নাঙলকোটের বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল তার ক’দিন পর, কিন্তু ভয়াবহ আগুন নিভিয়ে দিয়েছে সেই স্বপ্ন।

ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রি: জে: মাঈনুদ্দিন বলেন, আমি খুবই মর্মাহত। মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছি মাত্র ৯-১০ দিন হলো। এই দুর্ঘটনা আমাকে খুবই পীড়া দিচ্ছে।

চট্টগ্রামে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের কাছে এত হতাহতের ঘটনা এই প্রথম। বুকে পাথর চেপে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে গেলেও ফায়ার ফাইটারদের সবার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ স্পষ্ট।

আরও পড়ুন: ‘মোবাইলে কল ঢোকে, কিন্তু আমার ভাই ধরে না’

/এম ই

Exit mobile version