Site icon Jamuna Television

সীতাকুণ্ডের মতো পরিস্থিতি এড়াতে হঠাৎ আগুন লাগলে যা করবেন

সীতাকুণ্ডের কনটেইনার ডিপোতে লাগা আগুন।

যেকোনো সময়ে যেকোনো স্থানেই আগুন লাগতে পারে। বসতবাড়ি, গোদামঘর কিংবা মাঝ নদীতে লঞ্চেও অগ্নিকাণ্ডের দৃষ্টান্ত আছে। প্রায় প্রতিবছরই দেশের কোথাও না কোথাও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। কোনোটা ছোট, কোনোটা অনেক বড়। স্থান, কাল ও আগুনের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে প্রাণহানি আর ক্ষয়ক্ষতি। তাই আগুন লাগলে কী করণীয় আর কী করা উচিত নয় তা জানা জরুরি।

আগুন লাগার খবর শুনেই বিচলিত হওয়া যাবে না। শুরুতেই ধরন বুঝে পানি, ফায়ার এক্সটিঙ্গুইশার কিংবা অন্য কিছু দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করতে হবে। প্রথম দিকেই অগ্নি র্নিবাপন যন্ত্র ব্যবহার করতে হবে। বৈদ্যুতিক কোনো উৎসে আগুন লাগলে মোটা কাপড় কিংবা কম্বল চাপা দিতে হবে, দ্রুত বন্ধ করতে হবে মেইন সুইচ। দামি কিংবা দরকারি জিনিস বাঁচাতে গিয়ে সময়ক্ষেপণ করা ঠিক না।

আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগেই ঘটনাস্থল থেকে নিরাপদে সরে যেতে হবে, সঙ্গে সঙ্গে জানাতে হবে ফায়ার সার্ভিসকে। তাদেরকে ব্যস্ত পেলে দ্রুত জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দিতে হবে। না হলে অন্তত চিৎকার করে সবাইকে সতর্ক করে দিতে হবে। যেন দায়িত্বশীলদের কানে এ তথ্য যায়, সেদিকেও নজর রাখতে হবে।

পরনের কাপড়ে আগুন লাগলে দৌড় না দিয়ে মাটিতে গড়াগড়ি করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। আগুন লাগলেই ঘটনাস্থালে হুমড়ি খেয়ে পড়া যাবে না। যতটা সম্ভব সহায়তা করতে হবে ফায়ার ফাইটারদের। না হলে থাকতে হবে নিরাপদ দূরত্বে। কোনোভাবেই প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না।

সীতাকুণ্ডের কনটেইনার ডিপোতে আগুনের ঘটনা লাইভে করতে গিয়ে প্রাণ গেছে নয়ন নামের এক যুবকের। তাই কোনোভাবেই দূর্ঘটনার ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করতে গিয়ে নিজের জীবন বিপন্ন করা যাবে না।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগুন লাগার পর পদক্ষেপ নেয়ার চেয়ে আগুন যেন না লাগতে পারে, সে বিষয়ে সর্তক থাকতে হবে। বাসাবাড়ি থেকে শুরু করে অফিস-কারখানা, সব স্থানে অগ্নি নির্বাপণের প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে।

এসজেড/

Exit mobile version