Site icon Jamuna Television

সীতাকুণ্ড ট্র্যাজেডি: এক দুর্ঘটনায় কর্মীশূন্য কুমিরা ফায়ার স্টেশন, হতাহত প্রায় সবাই

ভয়াবহ বিস্ফোরণের আগে আগুনের সবচেয়ে কাছে ছিলেন এই ফায়ার স্টেশনের কর্মীরাই।

মর্মান্তিক সীতাকুণ্ড ট্র্যাজেডির নীরব সাক্ষী কুমিরা ফায়ার স্টেশন। একটি দুর্ঘটনায় পুরো স্টেশনের সব কর্মী হতাহত হওয়ার ঘটনা দেশের ইতিহাসে রীতিমতো বিরল। জীবনবাজি রেখে সর্বপ্রথম ঘটনাস্থলে ছুটে যাওয়া এই স্টেশনের অগ্নিযোদ্ধাদের মধ্যে প্রাণ গেছে ৫ জনের, বাকিরা দগ্ধ। এখনও নিখোঁজ দু’জন।

শনিবার (৪ জুন) রাতে বিএম ডিপোতে আগুন লাগার পর সর্বপ্রথম যাদেরকে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে, এরা সবাই সীতাকুন্ডের কুমিরা ফায়ার স্টেশনের কর্মী। এরপরই কেমিক্যাল ভর্তি কনটেইনারে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, মুহূর্তে পাল্টে যায় দৃশ্যপট। জীবনবাজি রেখে কাজ করতে থাকা কুমিরা ফায়ার স্টেশনের ১৫ কর্মীর মধ্যে ১৪ জন ছিটকে পড়েন অনেক দূরে। কারও শরীর ছিন্নভিন্ন, কেউ পুড়ে অঙ্গার। পরে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায় ৫ জনের মরদেহ, দগ্ধ অবস্থায় ৭ জন চিকিৎসাধীন, ২ জন এখনও নিখোঁজ।

তবে কিছুটা দূরে থাকায় অক্ষত ছিলেন ফায়ার ফাইটার রাকিব হাসান বাপ্পি। চোখের সামনে সহকর্মীদের করুণ পরিণতির দৃশ্য ভুলতে পারছেন না কিছুতেই। বলছেন, সহকর্মীদের হারানোর অনুভূতি কোনোভাবেই ব্যক্ত করার মতো নয়।

দুর্ঘটনায় একটি ফায়ার স্টেশনের সব কর্মী হতাহতের ঘটনা দেশে বিরল। সেদিক থেকে ভাগ্যবান কুমিরা ফায়ার স্টেশনের লিডার আতিকুর রহমান। অন্য জায়গায় ট্রেনিংয়ে থাকায় বেঁচে যান তিনি। ফিরে এসে সহকর্মীদের এমন মর্মান্তিক পরিণতি দেখে কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তিনি।

তবে, এই স্টেশনের সব কর্মী হতাহত হওয়ায় দেয়া হচ্ছে নতুন জনবল। সীতাকুণ্ডের কুমিরা ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মনিরুজ্জামান জানান, কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী রুটিন অনুযায়ী কাজ পরিচালনা করার চেষ্টা করছেন তিনি।

এসজেড/

Exit mobile version