Site icon Jamuna Television

ইন্দো-প্যাসিফিক অর্থনৈতিক ফোরামে অংশ নেয়ার ক্ষেত্রে ঢাকা বিচক্ষণতার পরিচয় দেবে: চীনা রাষ্ট্রদূত

ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। ফাইল ছবি।

উন্নয়নের জন্য শান্তি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দরকার। এ অঞ্চলের ইন্দো-প্যাসিফিক অর্থনৈতিক ফোরামের (আইপিইএফ) দরকার আছে কিনা সেটা ভেবে দেখা দরকার। এই ফোরামে অংশ নেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অবশ্যই বিচক্ষণতার পরিচয় দেবে; এমন মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।

চীনে বাংলাদেশি পণ্যের প্রবেশাধিকার নিয়ে বুধবার (৮ জুন) রাজধানীতে আয়োজিত এক সেমিনারে দেশটির রাষ্ট্রদূত বলেন, দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ভারসাম্যহীনতা কমিয়ে আনতে রফতানি বাড়াতে হবে। শুল্কমুক্ত রফতানি পণ্যের পরিমাণ ৯৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯৮ শতাংশ করা হবে। খুব শিগগিরই এ ব্যাপারে ঘোষণা আসবে।

লি জিমিং আরও বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। পদ্মা সেতু ছাড়াও অনেক মেগা প্রকল্পের বাস্তবায়ন হচ্ছে। কর্ণফুলি টানেলের কাজও নির্ধারিত সময়ে শেষ হবে। নিজস্ব মুদ্রায় আমদানি-রফতানি এবং বাংলাদেশে চীনা ব্যাংক প্রতিষ্ঠা নিয়েও কথা বলেন তিনি। কোয়াড এবং আইপিইএফ ছাড়াই এ অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এ অনুষ্ঠানে শিল্প ও সেবা খাতে চীনকে আরো বিনিয়োগের আহ্বান জানান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বলেন, চীনে রফতানি বাড়াতে বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের দক্ষতা বাড়াতে হবে। পণ্যে বৈচিত্র আনতে হবে। শিল্প ও সেবা খাতে চীনের বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ। রফতানিমুখী পণ্য উৎপাদনেও চীনের বিনিয়োগকে স্বাগত জানাই। যৌথ উদ্যোগেও বিনিয়োগ করা যেতে পারে। এতে দু’দেশই লাভবান হবে।

/এমএন

Exit mobile version