Site icon Jamuna Television

ছয় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে উন্নয়নের ধারায় ফিরতে চায় সরকার

ছয় চ্যালেঞ্জের মুখে অর্থনীতি। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে উন্নয়নের ধারায় ফিরতে চায় সরকার। সেলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতি থাকছে ২ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে ৭ শতাংশ। অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, পণ্য ও সেবার দাম কমিয়ে বিনিয়োগ বাড়াতে পারলেই গতি ফিরে পাবে অর্থনীতি। তাই ফেরত আনা হবে বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ। খেলাপি ঋণ মওকুফ হলেও তা করযোগ্য হবে। ব্যাংকে ৫ কোটি থাকলে আবগারি শুল্ক পরিশোধ করতে হবে ৫০ হাজার টাকা। পাশাপাশি, নিজস্ব ডিজিটাল মুদ্রা চালুর সম্ভাবনা উঠে আসে তার উপস্থাপনায়।

অর্থমন্ত্রী হিসেবে আ হ ম মুস্তফা কামালের এটি চতুর্থ বাজেট। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বাংলাদেশের ৫১তম। লক্ষ্য, কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় ফেরা।

বাজেট উপস্থাপনায় আগের অর্থমন্ত্রীদের ধারা এড়িয়ে যান অর্থমন্ত্রী। পুরো বক্তব্য সংসদ সদস্যরা দেখেন অডিও-ভিজ্যুয়ালের আদলে। বলা হয়, করোনার ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের দামামা বাজছে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে।

তাই সরকারের সামনে আরও চ্যালেঞ্জ, পণ্য ও সেবার দাম কমিয়ে অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ বৃদ্ধি। ভর্তুকি বাড়াতে হবে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও সারের দামে। বৈদেশিক ঋণের অর্থে প্রকল্প শেষ করা, যেখানে গুরুত্ব পাবে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাত। সাথে ব্যক্তি করদাতার সংখ্যা বৃদ্ধি এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ঝুঁকিমুক্ত রাখতে চায় সরকার।

প্রস্তাবিত এ বাজেটে নতুনত্বের কমতি নেই। এই প্রথম প্রাতিষ্ঠানিক করদাতাদের খেলাপি ঋণ মওকুফ করযোগ্য ধরা হয়েছে। অর্থমন্ত্রীর বিশ্বাস, এর ফলে ব্যাংকের অর্থ তছরুপ কমবে। বাধ্যতামূলক টিআইএন রিটার্ন স্লিপ ঝোলাতে হবে সব ব্যবসা কেন্দ্র ও দোকানে। কর বকেয়া থাকলে কেটে দেয়া হবে গ্রাহকের গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এনবিআর কর্মকর্তাদের প্রবেশে বাধা দিলে জরিমানা হতে পারে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত। হিজড়া ও প্রতিবন্ধীদের নিয়োগে মিলবে করছাড়।

ট্যাক্স ফ্রি হবে সমুদ্রগামী বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজের আয়। বিদেশে সম্পদ বা ঋণ থাকলে তা দেখাতে হবে আয়কর রিটার্নে। পাশাপাশি, সব রফতানি শিল্পে করপোরেট ট্যাক্স আরোপ হবে একই হারে। যা বাংলাদেশে আয়-ব্যয়ের হিসাবে প্রথম।

অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, ডিজিটাল মুদ্রা চালুর সম্ভাব্যতা যাচাই করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে সেই কারেন্সি হবে বাংলাদেশের নিজস্ব।

/এমএন

Exit mobile version