Site icon Jamuna Television

‘জবাবদিহিতার নিশ্চয়তা না থাকলে উঠবে না র‍্যাবের নিষেধাজ্ঞা’

দৃশ্যমান সংস্কার আর সদস্যদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত না করলে র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হবে না বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সন্ত্রাস দমনে র‍্যাবকে কার্যকর বাহিনী উল্লেখ করে পররাষ্ট্র দফতরের কাউন্সিলর ডেরেক এইচ শোলেই যমুনা নিউজকে বলেন, নিরাপত্তা ও সামরিক খাতে ঢাকার সাথে অংশীদারিত্ব বাড়াচ্ছে ওয়াশিংটন। তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন, মানবাধিকার ও স্বাধীন গণমাধ্যম তাদের অগ্রাধিকার। ইন্দোপ্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্কে বাংলাদেশ যুক্ত হবে বলে আশাবাদী যুক্তরাষ্ট্র।

গেল ১০ ডিসেম্বরের পর থেকে ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কে সবচেয়ে অস্বস্তির ইস্যু র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা। ছয় মাসে অন্তত চারটি ফোরামে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছে দেশদুটি। বাংলাদেশের চাওয়া, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার। সন্ত্রাস আর জঙ্গী দমনে র‍্যাবের প্রশংসাও করছেন মার্কিন নীতিনির্ধারকরা। এর ফলে সামরিক ও নিরাপত্তা ইস্যুতে যৌথ কোনো উদ্যোগ থেমে থাকবে না বলেও বলছেন তারা। কিন্তু কবে ও কীভাবে উঠবে এই নিষেধাজ্ঞা?

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের কাউন্সিলর ডেরেক এইচ শোলেই বলছেন, র‍্যাবের উল্লেখযোগ্য সংস্কার জরুরি। সেই সাথে মানবাধিকার লংঘনের সাথ যারা জড়িত, তাদের জবাবদিহিতাও আবশ্যক। এগুলো করতে পারলেই কেবল নিষেধাজ্ঞা উঠতে পারে। গত কয়েক মাসে আমরা অনেক বৈঠক করেছি। সামরিক খাতেও যোগাযোগ আমরা বাড়াতে চাই। তবে এ নিষেধাজ্ঞা তাতে কোনো প্রভাব ফেলবে না।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ইন্দোপ্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্ক বা আইপিইএফ নামে যে নতুন অর্থনৈতিক উদ্যোগ নিয়েছে তাতে এরই মধ্যে যুক্ত হয়েছে ভারত-জাপানসহ ১২ দেশ। এতে যুক্ত হলে বাংলাদেশও লাভবান হবে বলে মনে করেন এই কূটনীতিক। বলছেন, পরিবেশবান্ধব জ্বালানি, ডিজিটালাইজেশনসহ বহু বিষয়ে কাজ করবে এই উদ্যোগ। এর ফলে ত্বরান্বিত হবে উন্নয়ন। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো দরকার বাংলাদেশেরও।

দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় বাংলাদেশকে কৌশলগত অংশীদার মনে করে যুক্তরাষ্ট্র। তাই এদেশের রাজনীতি বিশেষ করে নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ আছে দেশটির। তবে ভোটে যুক্তরাষ্ট্র কোনো পক্ষ নেবে না। কোনো দলের প্রতি তাদের কোনো দুর্বলতা নেই বলেও জানালেন এই কূটনীতিক। তিনি বলেন, আমরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন প্রত্যাশা করি। আর মানবাধিকার, সুশাসন, গণতন্ত্র ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা আমাদের অগ্রাধিকার।

আগামী ৫০ বছর ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক আরো গভীর হবে বলেও আশাবাদী তিনি।

/এডব্লিউ

Exit mobile version