Site icon Jamuna Television

শিল্পী সমিতিতে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে ওমর সানীর সংসার ভাঙা এবং মেরে ফেলার হুমকির অভিযোগ

ছবি: সংগৃহীত।

জায়েদ খানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে অভিযোগ করেছেন ওমর সানী। রোববার (১২ জুন) সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন নিপুন আক্তার। বলেন, মৌসুমী আপার তরফ থেকে সানী ভাইয়ের (ওমর সানী) একটা অভিযোগ পেয়েছি।

নিপুন আক্তার জানান, এখন শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে কথা বলে শিগগিরই তারা বৈঠক করবেন। এরপর এ ব্যাপারে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।

শিল্পী সমিতি বরাবর ওমর সানীর করা অভিযোগপত্রে বলা হয়, জায়েদ খান গত চারমাস ধরে আমার স্ত্রী মৌসুমীকে নানা হয়রানি ও বিরক্ত করে আসছে। সংসার ভাঙার জন্য বিভিন্ন কৌশলে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করে আসছে। এ ব্যাপারে তাকে (জায়েদ খান) হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ দিয়ে বারবার বুঝানোর চেষ্টা করেছি। এছাড়া ডিপজল ভাইয়ের কাছেও এ বিষয়ে অভিযোগ করেছি। কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি। ডিপজল ভাইয়ের ছেলের বিয়েতে তার সাথে দেখা হলে এ বিষয়ে সংযত হওয়ার জন্য অনুরোধ করি। কিন্তু আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে পিস্তল বের করে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

প্রসঙ্গত, চলচ্চিত্র অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজলের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে একই অঙ্গনের ওমর সানী এবং জায়েদ খানের মধ্যকার দ্বন্দ্বকে ঘিরে সম্প্রতি সৃষ্টি হয়েছে আলোচনা। সেই অনুষ্ঠানে জায়েদ খানকে থাপ্পড় দেন ওমর সানী এবং প্রতিক্রিয়া হিসেবে তাকে গুলি করার হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে। অবশ্য গোটা ঘটনাই অস্বীকার করেছেন জায়েদ খান।

এ নিয়ে যমুনা টেলিভিশন কথা বলেছে অভিনেতা ওমর সানীর সাথে। তিনি বলেন, আমার স্ত্রীকে বিভিন্নভাবে বিরক্ত করেছে জায়েদ খান। তার অজস্র প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। তবে তা এখনই সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরতে চান না বলে জানান এ অভিনেতা।

আরও পড়ুন: ঘটনার দিন ওমর সানী মাতাল ছিলেন: জায়েদ খান

সেদিনের ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ওমর সানী বলেন, ওই দিন আমি যখন তাকে চড় দিয়েছি, তখন সে দাঁড়িয়ে পকেটে হাত দিয়ে আমাকে বলে, একদম গুলি করে ফেলবো। জায়েদ খান জনসম্মুখে পিস্তল বের করেছিলেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি কি তার পকেটে হাত দিয়ে দেখতে যাবো? আমরা সবাই জানি জায়েদ খান পিস্তল ক্যারি করে। তার তো এমন নজির আছে ইন্ডাস্ট্রিতে।

অন্যদিকে, জায়েদ খান এ ঘটনাকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা আখ্যায়িত করে বলেন, ২-৩ দিন ধরে আমার লাইসেন্সকৃত পিস্তলটি আমার কাছে নেই। তাছাড়া কনভেনশন হলে অস্ত্র নিয়ে প্রবেশও করতে দেয়া হয় না। এটি সম্পূর্ণ একটি মনগড়া কাহিনি।

ঘটনার দিন ওমর সানী মাতাল ছিলেন উল্লেখ করে জায়েদ খান জানান, সেদিন তিনি মাতাল ছিলেন। তাই ঘটনার দিন খবর নাই, তার পারদিনও খবর নাই। দু’দিন পর মনগড়া কথা বলছেন। বিষয়টি আমার কাছে খুবই দুঃখজনক লেগেছে, কারণ যে কাজটি আমি করলামই না…। তাছাড়া ঘটনা সত্য হলে মৌসুমী ম্যাডাম এতোদিনে স্টেটমেন্ট দিতেন বা পত্র পত্রিকায় এ নিয়ে কথা বলতেন।

উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ অপপ্রচার করা হচ্ছে দাবি করে তিনি জানান, আমার শিল্পী সমিতির রায় ছিল, সেটাকে কেন্দ্র করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এমন করা হয়েছে। সেখানে ডিপজল ভাই ছিলেন, রোজিনা আপা ছিলেন, অঞ্জনা আপা ছিলেন। ঘটনা সত্য হলে কেউ কি কিছুই দেখতেন না?

মৌসুমীর সাথে খারাপ আচরণ করার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি শ্রদ্ধার মানুষ। তার সাথে খারাপ আচরণ করার শক্তি আমাদের নাই। তিনবার তাহলে আমি সেক্রেটারি হতে পারতাম না, আমি শিল্পীদের সম্মান রক্ষা করা মানুষ।

আরও পড়ুন: জায়েদ খান পকেটে হাত দিয়ে বলে ডায়রেক্ট গুলি করবো: ওমর সানী

‘ঘটনার দিন ওমর সানী মাতাল ছিলেন’ জায়েদ খানের এমন অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় ওমর সানী বলেন, সেদিন আমি আর মৌসুমী ছিলাম পুলিশ প্লাজায় একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। সেখানে অনেক সাংবাদিকও ছিল, ওখানে ছিলাম সাড়ে ৭টা পর্যন্ত। তারপর ডিপজল মামা আমাকে ফোন দিলেন, ভাগ্নে আসো না কেনো। সেখান থেকে সরাসরিই আমি বিয়ের অনুষ্ঠানে চলে যাই। সেখানকার ভিডিওগুলো চেক করে দেখলেই প্রমাণ হবে সে মিথ্যা কথা বলছে।

/এমএন

Exit mobile version